
থানকুনি পাতার সবুজাভ রসের গন্ধে বুঁদ হয়ে থাকতেন বুড়ো! উঠানের দক্ষিণ দিকে। কাঁঠালতলায় বসে ভাঙা শিল পাটায় ফাল্গুনের সকালবেলায় থানকুনি পাতা পিষে রস নিংড়ে নিতেন। আমকাঠের ভাঙা জলচৌকিতে ন্যুব্জ হয়ে বসে প্রতি সকালেই চলত তাঁর এই কর্মযজ্ঞ! পরনের নোংরা লুঙ্গি হাঁটুর ওপর তুলে ভূতলের দিকে ঝুকে লম্বাটে হাত দুটো পাটার উপর ব্যস্ত থাকত— ধীরগতিতে পিষতেন পাতাগুলো। পাতাগুলো পিষে কম্পিত হাতে রস নিংড়ে নিতেন একটা পেতলের গ্লাসে। বুড়ো যখন রস নিংড়ে নিতেনূ তখন সেই দৃশ্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে বেশ ভালোই লাগত। থেঁতলানো পাতাগুলো হাতের মুঠোয় পুরে নিয়ে বুড়ো যখন ঘুণে-ধরা জরাজীর্ণ শরীরের সম্পূর্ণ সামর্থ্য প্রয়োগ করে আঙুলগুলো মুঠো করে চাপ দিতেন ঠিক তখনই আঙুলে ফাঁক দিয়ে নীরক্ত কোঁচকানো চামড়া বেয়ে ঝরনাধারার মতো নেমে আসত সবুজ রসের ধারা গন্ধযুক্ত! পেতলের গ্লাসে টপটপ করে ঝরে পড়ত রস। একবিন্দুও রস ফেলা যাবে না। বুড়ো শেষবিন্দু অব্দি তালুতে নিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে চেপে যেতেন থেঁতলানো পাতার ছিবড়েটুকু!
ঘরের বারান্দায় বসে বুড়োর প্রতি লক্ষ্য রাখতাম। তাঁর অদ্ভুত ধরনের কার্যকলাপে সকলেই আশ্চর্য চোখে তাকিয়ে থাকত।
রোদ তেতে ওঠার আগেই রসটুকু পেটের ভেতর চালান করে দিতেন বুড়ো। পেতলের গ্লাসে সম্পূর্ণ রসটুকু নিংড়ে নেওয়ার পর তাতে সামান্য লবণ মিশিয়ে ঢকঢক শব্দ তুলে সাবাড় করে দিতেন দ্রুতবেগে। রোদ তখনও তেতে ওঠেনি কিংবা চড়াও হয়নি বুড়োটার রং নিভে যাওয়া চোখে তবুও তাঁর তাড়া। এক ধরনের অদ্ভুত অস্থিরতা তাঁকে আটপৌরে তাড়িয়ে বেড়ায় যেন। গন্ধযুক্ত রসের ধারা কণ্ঠনালী বেয়ে নামতেই মুখটি বিকৃত করে দাঁতে দাঁত চেপে খানিকক্ষণ চোখ বন্ধ করে বসে থাকেন তিনি! তেতো নাকি? নাকি অন্যকিছু? বাতিকগ্রস্ত মানুষেরা কি এমনই বুড়োর মতো? পেতলের গ্লাসটিতেই যেন লুকিয়ে আছে বুড়োর আয়ু পেতলের ওই বস্তুটি তাঁর এতই প্রাণের! আশ্চর্যের ব্যাপার এই গ্লাসটি সকালবেলাতেই দেখতে পাওয়া যায় তাঁর হাতে সারাদিনে আর দেখতে পাওয়া যায় না। কোথায় যে লুকিয়ে রাখেন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বুবুজান যখন বেঁচে ছিলেন প্রায়ই বলতেন ‘পেতলের ওই জিনিসটা আমার দাদাশ্বশুরের হাতের চিন্ন।’ শুধু এতটুকুই বলতে শুনতাম। বুবুজান যখন মারা গেলেন তারও অনেক পরে জানতে পারলাম পেতলের ওই গ্লাসটির ইতিবৃত্ত। গ্লাসটি বুড়ো অর্থাৎ আমার দাদাজানেরও দাদাজান ব্রিটিশ আমলে হাট থেকে ক্রয় করেছিলেন। ব্যবহার তো দূরের কথাূ বাড়ির কেউ স্পর্শও করতে পারত না ওই বস্তুটি। সারাক্ষণ লোহার সিন্দুকেই তালাবদ্ধ থাকত। হঠাৎ একদিন তাঁর আয়ু ফুরিয়ে গেল। তাঁর অনুপস্থিততে ক্রমে বাটোয়ারা হতে লাগল লোহার সিন্দুকে তালাবদ্ধ ধনরত্নের ভাণ্ডার। তাঁতের লুঙ্গি সিল্কের পাঞ্জাবি কাঠের একজোড়া খড়ম বাদামী রঙের খসখসে কাগজে মোড়া তোবড়ানো কয়েকটি নোট এবং পেতলের ওই বস্তুটি সবকিছুই বাটোয়ারা হলো। একেকজন ইচ্ছেমতো জিনিস নিয়ে নিল।
বুড়ো বাটোয়ারার সময় ছিলেন না তাঁর বাবা ছিলেন। মফস্বল থেকে ফিরে দেখলেন জং-ধরা লোহার সিন্দুকে শুধু পেতলের একটা গ্লাস পড়ে আছে তিনি ওটাকেই হাতে তুলে নিলেন। তারপর থেকে ওটা তাঁর অধিকারে রয়ে গেল। একদিন তিনিও উধাও হলেন। বর্তমানে উত্তরাধিকার সূত্রে বুড়োই আগলে রেখেছেন জিনিসটাকে।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই বুড়ো বারান্দায় মাদুর পেতে বসতেন। প্যাঁচার মতো নীরবতা যখন ক্রমে গিলে ফেলত বাড়িটাকেূ বুড়ো ঠিক তখনই অদ্ভুত শব্দ করে উঠতেন। বুবুজান যখন বেঁচে ছিলেনূ প্রায়ই বুড়োর এই অদ্ভুত অভ্যাসের জন্য গালমন্দ করতেন। অথচ বুড়ো একটুও তেজ দেখাতেন না টুঁ শব্দটিও করতেন না— ঝিম মেরে মাথা নিচু করে বসে থাকতেন। লোকটা ছিলেন অস্বস্তিকর ভয়ংকর বাতিকগ্রস্ত! সন্ধ্যার পর কারও সান্নিধ্যে থাকতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন না একা থ মেরে বসে থাকতেই যেন আনন্দ পেতেন। একটা সময় ছিলূ সন্ধ্যার পর বুড়ো মহানিম পাতার রস গিলতেন! বিশ্রী গন্ধযুক্ত তেতো সেই তরল অবলীলায় ঢকঢক শব্দে মুহূর্তেই গিলে ফেলার আশ্চর্য ক্ষমতা রপ্ত করে ফেলেছিলেন। বুবুজান ভীষণ বকাঝকা করতেন ‘অমন কি রোজ রোজ প্যাটে সইব? রোজ রোজ অমন বিষের মতো তেতো গিললে কি মানুষ বেশিদিন বাঁচব?’ বুড়ো বেঁচেছিলেন। কচ্ছপের মতো আয়ু নিয়েই মাতৃগর্ভ ছেড়ে পৃথিবীতে নেমে এসেছিলেন কিনা!
মাঝেমধ্যে মনে হয় বুড়োটা হুট করেই হারিয়ে গেলেন। সত্যিই কি তাই? বুড়ো শুধু একা হারিয়ে যাননি। সবকিছু নিয়েই হারিয়ে গেছেন। স্বীকার করতে দোষ নেই। বুড়োর আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল— যাদুমন্ত্রবলে সবকিছুকে কেমন নাচাতে পারতেন! অঘ্রানমাসের এক বিকালবেলা নায়েব বাড়ির কাজের ঝিটা হন্তদন্ত হয়ে এল বুড়োর কাছে। ভরা সন্ধ্যা। বুড়ো সেই মুহূর্তে তেতো নিমের রসে পরিপূর্ণ পেতলের গ্লাসটি ডানহাতে ধরে ঝিম মেরে বসেছিলেন। ধ্যানস্থ ঋষির মতো স্থির। হঠাৎ ধ্যানভঙ্গ হলো। নায়েব বাড়ির ঝি রেবেকার ডাকে তড়াক করে উঠে দাঁড়ালেন বুড়ো ‘কে রে?’
রেবেকা আবছা অন্ধকারে বুড়োর পায়ের কাছে বসেই ডুকরে উঠল ‘আপনেই পারবেন! দাদাজানূ আপনেই পারবেন!’
বুড়ো খানিকক্ষণ থ মেরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারপর হাতের গ্লাসটি রেবেকার দিকে এগিয়ে ধরে বলেছিলেনূ ‘নে মাগী! এইডা শ্যাষ কর আগে। সব হইব তোর।’
আশ্চর্য! মাসপাঁচেক পরই রেবেকার পেট কবরের মাটির মতো উঁচু হয়ে উঠল।
জলচৌকিতে বসে বুড়ো প্রায়ই রোদ মাখতেন শরীরে। তখন বুড়োর ধারেকাছে কেউ ঘেঁষতে পারত নাূ কালেভদ্রে বুড়ো আমাকে ডেকে নিতেন। বলতেন ‘পিঠটা এট্টু দলাই মলাই কইরা দে তো। লাঠি লজেন আইনা দিমু!’ বুড়োর কাছ ঘেঁষতেই শরীর ঠিকরে বেরিয়ে আসত সোঁদা গন্ধ। কোঁচকানো চামড়া রোদে ভিজে উঠত। নরম রোদে চকচক করত। বাড়ির দক্ষিণদিকে কাঁঠালগাছটার পাশেই করমচাগাছ। গাছটির ঝাকড়া ডালপালায় রোদের ঝিলিক পিছলে পড়ত চৈত্রমাসের দুপুরগুলোয়।
বুড়োও চলে গেলেন এক চৈত্রের দুপুরে। সঙ্গে ওই করমচাগাছটিও নিয়ে গেলেন। তিনি অছিয়ত করেছিলেন ওই গাছটির নিচেই যেন তাঁকে কবর দেওয়া হয়। অছিয়ত পূর্ণ করা হয়েছিল। সেকারণেই অগত্যা করমচাগাছটিকে কেটে ফেলা হয়েছিল। এখন চৈত্রমাসের দুপুরগুলোতে রোদ দাপিয়ে বেড়ায় অথচ করমচার ডালে রোদের ঝিলিক পিছলে পড়ার সুদৃশ্য আর চোখে পড়ে না।
গোয়ালঘরের পাশেই ছিল বিচালির স্তূপ। বৃষ্টিভেজা বিচালির সোঁদা গন্ধে একধরনের মাদকতা ছিল। বৃষ্টির দিনে টানা দুই-তিনদিন ধরে বৃষ্টি নামত। বৃষ্টি থামার পর যেদিন মখমলের মতো রোদ উঠতূ সেদিনই বিচালির সোঁদা গন্ধ ভেসে আসত নাকে। বুড়োর আয়ুর রেখা ধরে সবকিছু হারিয়ে গেছে যেন! সেই বিচালির সোঁদা গন্ধ এখন আর নাকে আসে না। বুড়ো নেই বাড়ির উঠানের গোয়ালঘরের পাশে যেখানে বিচালির পর্বতপ্রমাণ স্তূপ থাকত ওই সম্পূর্ণ জায়গাটি ফাঁকা বিরান। শূন্যতা খা খা করে আটপৌরে। বুড়োটা যেদিন মারা গেলেনূ তার সপ্তাহখানেক পরই বাবা গোয়ালঘরের সবগুলো গরু সস্তায় বেচে দিয়েছিলেনূ সঙ্গে পর্বতপ্রমাণ বিচালির স্তূপও।
বাড়িটা ক্রমে স্তব্ধ হয়ে গেল। চারধারে অদৃশ্য নীরবতার দেওয়াল বেষ্টনী করে রাখত বাড়িটাকে। বাড়িও বুড়োটার মতো নীরবতাকে ভালোবাসে বোধহয়!
বুড়োকে নিয়ে কানাঘুষাও কম ছিল না। মানুষের মুখে মুখে রটনা ছিল। বুড়োর নাকি দোষ ছিল। অবশ্য বুড়ো বেঁচে থাকতে কথাটি অত ঢাকঢোল পিটিয়ে কেউ বলেনিূ তখন শুধু কানাঘুষাই চলত। যেই তিনি মারা গেলেনূ অমনি মানুষের মুখের আগল যেন খুলে গেল মুহূর্তেই। নানা কথা রটতে লাগল বুড়োর নামে। চা দোকানে বসে বুড়োর নামে কুৎসা শুনতে লোকেরা উদগ্রীব হয়ে বসে থাকত। অত্যধিক নোংরা রং চটে যাওয়া চায়ের কাপ হাতে নিয়ে কলিমুদ্দিন নিচু স্বরে বলত ‘বুইড়ার দম কি আছিল? ওই বয়সে ক্যামনে পারল?’ চা দোকানের নড়বড়ে কাঠের বেঞ্চে বসে থাকা লোকেরা টঁত শব্দটিও করত না। একমুহূর্ত সকলেই নীরবে বসে থাকত। চারধারে কেবলই নীরবতা। তারপর আচমকা নীরবতা ভেঙে একজন বলে উঠতূ ‘রেবেকার স্বামীডা কি পুরুষ? হালায় মানল কি কইরা?’ মাঝেমধ্যে বুড়োকে নিয়ে বিপাকে পড়ি। সামান্য বিব্রতও হই। সত্যিটা কী? বুড়ো কি তাহলে রেবেকাকে সত্যিই? ঘোর ভাঙে। দাঁত দিয়ে জিভ কাটি।
রেবেকার স্বামী অবশ্য লোকের কথায় কর্ণপাত করত না।
দীর্ঘদিন করমচা খাই না। করমচা দেখলেই বুড়োর কথা মনে পড়ে। ছুটিতে বাড়ি যাই। প্রতিবারই ভাবি কবরের পাশে একটা করমচাগাছ লাগাব। ছুটি ফুরিয়ে যায়। গাছ আর লাগানো হয় না। আমার শৈশবটাকে রঙিন করে তুলেছিল বুড়ো। ইদানীং মাঝেমধ্যেই বুড়োর কীর্তিতে সত্যিই বিস্মৃত হই। পুরোনো একেকটি ঘটনা মনে পড়ে আর আশ্চর্য হই। বুড়োর মধ্যে কি এমন ছিল? নিমের তেতো রসেই কি রেবেকার পেটে সন্তান এল? নাকি বুড়োর অলৌকিক ক্ষমতা ছিল। যাদুটোনা জানতেন নাকি? তাছাড়া আরও অবাক হই বুড়োর রসের বাতিকের কথা ভেবে! একটা সুস্থ মানুষ কি করে ওগুলো খেতে পারতেন। নিমপাতার রস, থানকুনি পাতার রস। থানকুনি পাতার রস না হয় তেতো নয় দিব্যি খাওয়া চলে। কিন্তু নিমপাতার রস? গন্ধযুক্ত ঘন তেতো তরল রোজ সন্ধ্যায় কি করে গিলতেন ওই বুড়োটা? সেই দৃশ্য ভাবতেই বিবষিমা পায়। থানকুনি কিংবা নিমপাতার রসই হোক না কেন বুড়ো স্বস্তির সঙ্গেই খেতেন। যদিও রস মুখে নিয়ে গেলার সময় মুখের আকৃতি বিকৃত হয়ে যেত। চোখ দুটি বুঁজে থাকতেন।
বুড়ো মারা যাবার কয়েকদিন পর এক বিকালে পেতলের ওই গ্লাসটিকে আবিষ্কার করে ফেলি! সকলেই গ্লাসটি তন্নতন্ন করে খুঁজেছে কেউ পায়নি। গ্লাসটি বুড়ো ঘরের পেছনের কাঠবাদাম গাছের তলায় হাঁটুসমান গর্তের ভেতর লুকিয়ে রাখতেন। গর্তটা কারো চোখে পড়ার জো নেই। এমনিতেই জঙ্গুলে জায়গা। তার উপর গর্তের মুখ শুকনো পাতা দিয়ে ঢাকা ছিল। বুড়োর বুদ্ধির তারিফ করতেই হয়ূ কায়দা জানতেন বেশ।
লোহার সুটকেসের ভেতর গ্লাসটা যত্নে তুলে রেখেছি। আলাউদ্দিনের চেরাগের চেয়ে বস্তুটার মাহাত্ম্য কম কোথায়? মাঝেমধ্যে সুটকেস খুলে গ্লাসটা বাইরে নিয়ে আসি। নাকের সঙ্গে চেপে ধরে রাখি। থানকুনি কিংবা নিমপাতার রসের গন্ধ লেগে আছে কিনাূ নিরীক্ষা চালাই। গন্ধের কথা মনে পড়তেই বুকের ভেতর হুলস্থুল শুরু হয়ূ বুড়োকে নিয়ে কত স্মৃতি সেইসব স্মৃতির বাহারি গন্ধ দূরে কোথাও হাতছানি দিয়ে ডাকে।
ছুটিতে বাড়ি এলে ঘরের পেছনে এসে দাঁড়াইূ মহানিমগাছটার নিচে। গাছটা তরতরিয়ে দ্রুতবেগে বেড়েই চলেছে যেন! গাছটার সঙ্গে কিছু একটা বলার চেষ্টা করি। ওর বয়স জানতে চাই। বুড়োর সঙ্গে ওর সম্পর্কের কথা জানতে চাই। অথচ গাছটি নির্বাক। বোবা হয়ে সহজাত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকে। শুধু বাতাসে পাতাগুলো নড়েচড়ে উঠে। ততক্ষণে সোঁদা গন্ধ ভেসে আসে। দূরাগত সোঁদা গন্ধের সঙ্গে বাতাসে ভেসে আসে বুড়োর অস্পষ্ট কাশির শব্দ। মুহূর্তেই চোখের সামনে ভেসে উঠে করমচাগাছটিূ ঝলমলিয়ে ঢেউ খেলে যায় চৈত্রমাসের রোদ্দুর। কাঁঠালতলায় বুড়ো যেন বসে আছেন। ধনুকের মতো বাঁকা শিরদাঁড়া নিয়ে জলচৌকিতে বসে ঝুঁকে পাটায় থেঁতলে যাচ্ছেন থানকুনি পাতা।
একমুহূর্তেই মগজটাকে মনে হতো একটুকরো কাঠ! কাঁঠাল কিংবা আমকাঠ। আর সেই কাঠে ক্রমশ একটা ঘুণপোকা যেন করাতের মতো শানিত দাঁত দিয়ে খুঁটে যাচ্ছে। কাঠের শরীরে ঘুণপোকা যেমনটা প্রভাববিস্তার করেূ অবিকল তেমনই। বুড়োর স্মৃতি ঘুণপোকার মতোই। আটপৌরে খুঁটে খুঁটে খেত। এখনও খায়।
প্যানেল