
ছবি: সংগৃহীত
২০২৫ সালেও ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন ও সংশোধনের ক্ষেত্রে বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি। এখনও কার্যকর রয়েছে ২০১৭ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্ধারিত ফি কাঠামো ও আবেদনের পূর্ববর্তী পদ্ধতি। ফলে নতুন করে জন্ম নিবন্ধন করতে বা জন্ম তারিখ সংশোধন করতে হলে নাগরিকদের আগের নিয়ম মেনেই আবেদন করতে হচ্ছে।
অনলাইনে আবেদন ও ফি জমা দেওয়ার নিয়ম
ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করার সময় “ফি আদায়” অপশনটি নির্বাচন করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনে নির্ধারিত ফি জমা দিতে হয়।
ফি প্রদানের পর সাধারণত ৫ থেকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে জন্ম সনদ সরবরাহ করা হয়। আবেদন অনলাইনে হোক বা অফলাইনে—ফি প্রদান আবশ্যক।
জন্ম তারিখ সংশোধনে কত ফি?
জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য বর্তমানে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত ফি নেওয়া হয়। তবে এই ফি অঞ্চলে ভেদে ভিন্ন হতে পারে। সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কর্তৃপক্ষ যেভাবে নির্ধারণ করে, সে অনুযায়ীই ফি জমা দিতে হয়।
চালান আপলোডে ভোগান্তি: কেন হয় সমস্যা?
অনলাইনে আবেদনকারীদের অনেকেই চালান আপলোড করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। বিশেষ করে দুইটি সাধারণ সমস্যার কারণে আবেদন আটকে যায়:
- স্ক্যান করা চালান ফাইল যদি ১০২৪ কিলোবাইটের বেশি হয়, তাহলে সেটি সিস্টেমে আপলোড হবে না।
- চালানে প্রদর্শিত টাকার অঙ্ক যদি নির্ধারিত ফি’র চেয়ে বেশি বা কম হয়, তাহলে তা গ্রহণযোগ্য হয় না।
সমাধান:
- ফাইল রিসাইজ করে ১ মেগাবাইটের (১০২৪ কিলোবাইট) নিচে আনতে হবে।
- চালানের টাকার অঙ্ক সঠিক আছে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে।
‘Possible Duplicate’ দেখালে কী করবেন?
অনেক সময় জন্ম নিবন্ধনের তথ্য অন্য কারও সঙ্গে মিলে গেলে BDRIS (Birth & Death Registration Information System) সেটিকে ‘Possible Duplicate’ হিসেবে চিহ্নিত করে। এমন হলে কিছু বাড়তি পদক্ষেপ নিতে হয়:
- জন্ম তারিখ বা স্থায়ী ঠিকানায় যদি অন্তত ৮-১০ বছরের পার্থক্য থাকে, তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
- আবেদনকারীর কাছ থেকে লিখিতভাবে জিজ্ঞাসাবাদ ও নিশ্চিতকরণ নেওয়া আবশ্যক।
- প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে তদন্ত করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
সঠিক তথ্য ও প্রস্তুতি থাকলেই সমস্যা এড়ানো সম্ভব
জন্ম নিবন্ধন ও সংশোধন সংক্রান্ত জটিলতা এড়াতে অনলাইনে সঠিক তথ্য পূরণ, নির্ধারিত ফি প্রদান এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা জরুরি।
সর্বোপরি, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভার নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে তথ্য জেনে ও যাচাই করে আবেদন করাই সবচেয়ে নিরাপদ ও ফলপ্রসূ পথ।
রাকিব