
ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে “মুছে ফেলা” বা হত্যা করাই এখন তাদের যুদ্ধকৌশলের অন্যতম লক্ষ্য। বেয়ারশেভায় ইরানি হামলায় সোরোকা মেডিকেল সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর তিনি এই মন্তব্য করেন।
কাৎজ বলেন, “এই ব্যক্তি (খামেনি) সবসময়ই তার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ইসরায়েল ধ্বংসের চেষ্টা করেছে। একজন ব্যক্তি, যে আমাদের আক্রমণ করতে চায়, তার বেঁচে থাকার অধিকার নেই। তাকে থামানো, তাকে নির্মূল করা — এখন এই বিষয়টি আমাদের অভিযানের অংশ।”
তিনি আরও বলেন, “এখন আমরা বুঝতে পারছি, ইসরায়েল ধ্বংসের যেসব কথা তিনি অতীতে বলতেন, তা কতটা বাস্তব হুমকি ছিল।”
এছাড়া, ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই তেহরানে সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে আসছে নেতানিয়াহুর প্রশাসন। শুক্রবার ইরানে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর এক ইংরেজি ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু ইরানিদের উদ্দেশে বলেন, “আমি আশা করি এই সামরিক অভিযান আপনাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ প্রশস্ত করবে।”
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার এক সামাজিকমাধ্যম পোস্টে খামেনির প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা তাকে হত্যা করবো না (কমপক্ষে এখনই নয়)... তবে আমাদের ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে।”
এই মন্তব্যগুলো ইরান-ইসরায়েল সংঘাতকে আরও গভীর সংঘর্ষ ও উত্তেজনার দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
শেখ ফরিদ