
ছবি: সংগৃহীত
২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্যমতে ৭২১ জন ব্যক্তি গুমের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে এখনও নিখোঁজ ১৫৮ জন। সম্প্রতি ‘গুম’ হওয়া রহমত উল্লাহ ভারতের কারাগার থেকে ফিরে আসার পর, নতুন করে প্রশ্ন উঠছে—অন্যান্য নিখোঁজরা কোথায়?
রহমতের ভাই জানান, র্যাব পরিচয়ে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে তাকে ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে তিনি ছয় মাসের কারাদণ্ড ভোগ করেন। রহমতের দাবি, আরও ১৩ জন তার সঙ্গে ছিল—যারা খুলনা ও যশোর অঞ্চলের হতে পারে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এটি প্রমাণ করে যে গুম হওয়া আরও অনেকেই ভারতে আটকে থাকতে পারে। তাদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে ‘গুম তদন্ত কমিশন’-এর অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তত আটটি গোপন স্থানে গুম হওয়াদের আটকে রাখার প্রমাণ পাওয়া গেছে—যেগুলো বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা পরিচালনা করতো। ওইসব বন্দিশালায় নির্যাতনের বর্ণনা রয়েছে ভয়াবহ: বৈদ্যুতিক শক, ঠোঁট সেলাই, ট্রেনের নিচে ফেলে হত্যা, নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেওয়া ইত্যাদি।
প্রতিবেদনে ভারতের সঙ্গে গুমের সংযোগের কথাও বলা হয়েছে—সালাহউদ্দিন আহমেদ, সুখরঞ্জন বালিসহ কয়েকজনকে গুমের পর ভারতের কারাগারে পাওয়া গেছে।
গুমের শিকার পরিবারগুলো ‘চিহ্নিতকরণ ও পরিণতি জানার’ দাবি জানিয়ে বলছে, শুধু অনুমান নয়—তাদের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রয়োজন। একজন পরিবারের সদস্যের ঘটনার সঠিক তথ্য জানলে বাকিরাও অপেক্ষা করতে পারে।
সম্প্রতি নিখোঁজ হয়ে ফেরত আসা ঢাবি ছাত্র খালেদের ঘটনাও জনমনে উদ্বেগ তৈরি করেছে। তবে তিনি আদৌ গুমের শিকার হয়েছেন কি না, তা তদন্তাধীন।
আবির