
বিএনপি'র প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনই চলমান রাজনৈতিক সংকটের একমাত্র সমাধান। তিনি অভিযোগ করে বলেন, "ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় তখনও আমরা নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু তাদের ভয় ছিল, যদি অবাধ নির্বাচন হয়, তাহলে তারা ক্ষমতা হারাতে পারে। এই ভয় থেকেই তারা ফ্যাসিবাদী আচরণে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। এখন ফের একই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।"
ড. ইউনূসের নেতৃত্বে যারা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের অনেকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন মোশাররফ হোসেন। তার ভাষায়, "তাদের কার্যপরিধি খুবই সীমিত ও অদৃশ্যমান। কেউ কেউ হয়তো দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছেন, আবার কেউ হয়তো নির্দিষ্ট কোনো শক্তিকে অগ্রাধিকার দিতে চাইছেন।"
দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তিনি বলেন, "দেশকে একটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ফেলে সময় নষ্ট করা মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়। রেমিট্যান্স আমাদের বড় আয়ের উৎস হলেও এর মধ্যে ৮৪ শতাংশই আসে পোশাকশিল্প থেকে। কিন্তু আগস্ট ২০২৪ থেকে মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত ৫৯টি গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। চলমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ২০২৬ সালের এপ্রিলের মধ্যে ১১৭টি গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যেতে পারে।"
তিনি আরও বলেন, "কারখানাগুলো একদিকে ব্যাংকঋণ পাচ্ছে না, অন্যদিকে তারা অর্ডার হারাচ্ছে। এছাড়া আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরাও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, বর্তমান সরকারের অধীনে তারা আর কোনো বিনিয়োগ করবে না।"
মোশাররফ হোসেনের মতে, রাজনৈতিক সংকট সমাধানে দ্রুত ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের কোনো বিকল্প নেই। তা না হলে দেশের অর্থনীতি ও গণতন্ত্র উভয়ই আরও গভীর সংকটে পড়বে।
মুমু