
ছবিঃ এ বি এম মোশাররফ হোসেন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক, বিএনপি
রাজনৈতিক সংস্কার, বিচার ব্যবস্থার উন্নয়ন ও নির্বাচন নিয়ে একযোগে আলোচনা ও অগ্রগতির সম্ভাবনা নিয়ে সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টকশো অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, “আমরা সবাই বিশ্বাস করতে চাই আগামী দিনের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।” তবে তার বক্তব্যে স্পষ্ট ছিলো—এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি) নিয়ে সরকারের অবস্থান ও আচরণ নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট প্রশ্ন।
বিএনপি নেতা বলেন, “এনসিপি এখনো কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নয়, অথচ তাদেরকে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে, আলোচনা সভায় ডাকছে। এতগুলো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল থাকলেও তাদের ডাকেন না, শুধু এনসিপিকে আহ্বান জানানো কি সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করে না?”
তিনি আরো বলেন, “আপনি যেই সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরছেন তা বাস্তবায়ন হবে আগামী সংসদে। এর মানে এই যে, নির্বাচন-পূর্ব প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থাই সবচেয়ে জরুরি বিষয়। সেই আস্থা তৈরি না করে কিছু প্রস্তাবনা বাস্তবতার সাথে কতটা মিলছে, সেটাও ভাবার দরকার আছে।”
এ বি এম মোশাররফ হোসেন বলেন, “যদি এনসিপি মনে করে তারা আগামী দিনে বাংলাদেশে পরিবর্তন আনবে, তাহলে তাদের নির্বাচনমুখী হওয়া উচিত। জনগণ যদি তাদের সমর্থন করে তাহলে আমরা সবাই সেই রায় মেনে নেবো। তবে জনসমর্থন আদৌ আছে কিনা, সেটাও প্রশ্নসাপেক্ষ।”
তিনি আরও মন্তব্য করেন, “সংবিধান নতুন করে লেখার বা দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র গঠনের প্রস্তাব নিয়ে তারা যদি নির্বাচনে যায়, সেটাই হতে পারে গণতান্ত্রিক পথ। কিন্তু তাতে জনপ্রতিনিধিত্বের ভিত্তি থাকতে হবে, কেবল বিশেষ মহলের পৃষ্ঠপোষকতায় নয়।”
নোভা