
ছবি- দৈনিক জনকণ্ঠ
সারাদেশে আবারও করোনা দেখা দিয়েছে। করোনা শনাক্তের জন্য কুড়িগ্রামে আধুনিক পিসিআর ল্যাবের ভবন স্থাপনা নির্মাণ করা হলেও নেই জনবল আর পিসিআর মেশিন।
হিমালয়ের পাদদেশীয় দেশের উত্তরের সবচেয়ে বড় সীমান্তবর্তী ও চরাঞ্চলযুক্ত জেলা কুড়িগ্রামে ৯টি উপজেলায় প্রায় ২৫ লাখ মানুষ বাস করে। কৃষি নির্ভর এ জেলার মানুষের অভাব নিত্য সংগী। এ জেলার মানুষের জন্য রয়েছে একটি মাত্র আধুনিক হাসপাতাল। সারা জেলার মানুষ এই হাসপাতালের উপর নির্ভর করে। অথচ এই হাসপাতালে জনবল ও ল্যাব এবং ডাক্তার সংকট।
চিকিৎসা নিতে এসে মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। এ অঞ্চলের মানুষের জন্য ২০২১সালে করোনা শনাক্তের জন্য একটি পিসিআর ল্যাব (পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন) স্থাপনের নির্দেশ দেয় বিগত সরকার। তারাই ধারাবাহিকতায় কুড়িগ্রাম ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পূর্ব পাশে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন ও আধুনিক একটি পিসিআর ল্যাবের ভবন নির্মাণ করে গণপূর্ত বিভাগ। গতবছরের নভেম্বর মাসে তা হস্তান্তর করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট। তবে ভবন হলেও পিসিআর ল্যাবে নেই করোনা শনাক্তের জন্য যন্ত্রপাতি এবং জনবল। কবে নাগাদ যুক্ত হবে যন্ত্রাংশ সেটিও অজানা। দারিদ্রপীড়িত এই জনপদের মানুষের আর্থিক ও সময় সাশ্রয়ের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে পিসিআর ল্যাবটি।
সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলেও কুড়িগ্রামে এই ভাইরাস সংক্রমণের নমুনা পরীক্ষার কোনও কিট নেই। এমনকি নমুনা পরীক্ষাকারী স্বাস্থ্যকর্মীর সুরক্ষা সরঞ্জামও নেই। কোভিড-১৯ সংক্রমণের নমুনা পরীক্ষার কিটসহ যেসব সরঞ্জাম কুড়িগ্রাম জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে মজুত রয়েছে সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ। এসব সরঞ্জাম দিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। এতে সঠিক ফল যেমন পাওয়া যাবে না তেমনি নমুনা সংগ্রহকারী স্বাস্থ্যকর্মীর সংক্রমণ ঝুঁকিও থাকবে। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট কিট সাড়ে ১৫হাজার পিচসহ অন্য সরঞ্জামের চাহিদা দেয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস জানান ২০২১সালে প্রায় এক কোটি টাকা বরাদ্দ আসে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য। সেখান থেকে তাৎক্ষনিক ভাবে প্রায় ২৪লাখ টাকা ব্যয়ে হাসপাতাল চত্বরে একটি কোয়াটারে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়। পরবর্তিতে ৬৫লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক পিসিআর ল্যাবের ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে হস্তান্তরও করা হয়েছে। জনবল ও পিসিআর মেশিন বসানো গেলে পুরোদমে চালু করা সম্ভব বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা। তিনি আরও বলেন ল্যাব ও জনবলের জন্য সরকারের কাছে চাহিদা চাওয়া হয়েছে। দ্রত আসলে এ হাসপাতালেও রোগীদেও রোগ নির্নয় করা হবে।
নোভা