
করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় নমুনা পরীক্ষার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে র্যাপিড অ্যান্টি-রিয়াজেন টেস্টের জন্য কিট এসে পৌঁছেছে। একইসাথে কোভিড রোগীদের জন্য একটি আইসোলেশন ওয়ার্ডও প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে রংপুরে এখনো আরটি-পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে নমুনা বিশ্লেষণ শুরু হয়নি, কারণ প্রয়োজনীয় কিট এখনো পৌঁছায়নি।
বৃহস্পতিবার (গতকাল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও আরটি-পিসিআর মেশিনের ইনচার্জ ডা. এম. এ. আজিজ।
সরেজমিনে জানা গেছে, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর কোনো রোগীর করোনা শনাক্ত হলে তার চিকিৎসার জন্য জরুরি বিভাগের পাশে অবস্থিত একটি ভবনে ১৬ বেডের একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে রয়েছে ১২টি জেনারেল বেড, ২টি আইসিইউ বেড এবং ২টি এইচডব্লিউ বেড।
তাৎক্ষণিক করোনা শনাক্তের জন্য র্যাপিড অ্যান্টি-রিয়াজেন টেস্টের প্রস্তুতি থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো রোগী এই পরীক্ষার জন্য আসেননি।
মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে অবস্থিত আরটি-পিসিআর মেশিন পরীক্ষার পর সচল রয়েছে বলে জানা গেছে, তবে কিট না থাকায় নমুনা বিশ্লেষণ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
ডা. এম. এ. আজিজ বলেন, “আমাদের ল্যাবে একটি আরটি-পিসিআর মেশিন রয়েছে, যা ঢাকা থেকে এক্সপার্ট এসে পরিদর্শন করেছেন এবং তা সচল রয়েছে। কিন্তু কিট না আসায় নমুনা পরীক্ষা শুরু করা যাচ্ছে না। তাছাড়া, পর্যাপ্ত জনবলও নেই। পূর্বের বরাদ্দ শেষ হওয়ায় জনবল সরবরাহ নেই। নতুন করে জনবল চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আপাতত নিজস্ব টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।”
রংপুর সিভিল সার্জন ডা. শাহীন সুলতানা বলেন, “কোভিড রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। র্যাপিড অ্যান্টি-রিয়াজেন টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত চিকিৎসকের পরামর্শে কেউ পরীক্ষা করাতে আসেননি।”
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান বলেন, “করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা হাসপাতাল প্রস্তুত রেখেছি। ইতোমধ্যে ১৬ বেডের একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে, যাতে ১২টি জেনারেল বেড, ২টি আইসিইউ বেড ও ২টি এইচডব্লিউ বেড রয়েছে।”
সজিব