ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলে এক ধরনের ধারণা তৈরি হয়েছিল যে, সরকার হয়তো ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনছে। কিন্তু ইরানের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সেই আত্মবিশ্বাসে বড় ধাক্কা দিয়েছে।
ইসরায়েলি রাজনৈতিক বিশ্লেষক ওরি গোল্ডবার্গ আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “এই হামলা দেশটির ‘হৃদয়ে’ আঘাত হেনেছে।”
সরোকা হাসপাতালেই কেন আঘাত?
যদিও ইরানিরা পুরো দেশজুড়েই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, কিন্তু ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে দক্ষিণ ইসরায়েলের সরোকা হাসপাতালের ওপর হামলাকে।
গোল্ডবার্গ বলেন, “সরকার এই বার্তা ছড়াতে চায় যে ইরানিরা ইচ্ছাকৃতভাবে হাসপাতাল টার্গেট করেছে।”
তবে তিনি এটিও বলেন, “ইসরায়েলিরা নিজেরাও হাসপাতাল টার্গেট করে থাকে। অনেক সেনাঘাঁটি, সদর দফতর এসব হাসপাতালের কাছাকাছি বসানো হয়, যাতে সেগুলোকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা যায়।”
ওরি গোল্ডবার্গ আরও জানান, সাধারণ মানুষ আসল চিত্র জানতে পারছে না। তার ভাষায়, “আমাদের মিডিয়াও সেন্সরের আওতায়। শুধু আল জাজিরা নয়, আমাদের মিডিয়াতেও অনেক তথ্য গোপন রাখা হয়। ফলে, আসলে কী ঘটেছে, সেটি পুরোপুরি বোঝা যাচ্ছে না। ধীরে ধীরে কিছু কিছু রিপোর্ট বের হচ্ছে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের এই হামলা শুধু প্রতিশোধ বা সামরিক দিক থেকে নয়, কৌশলগত বার্তা দেওয়ারও একটি উপায়।
এটি প্রমাণ করে যে ইরান চাইলেই ইসরায়েলের গভীরে আঘাত হানতে পারে, এমনকি বেসামরিক অঞ্চলেও।
মুমু ২
