ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

মানব সম্পদ উন্নয়নে পাঁচ কৌশল নির্ধারণ

প্রকাশিত: ২৩:০৯, ১০ ডিসেম্বর ২০২১

মানব সম্পদ উন্নয়নে পাঁচ কৌশল নির্ধারণ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ‘জনগণই সকল উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু’-বিষয়টিকে প্রতিপাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে জাতীয় মানব সম্পদ উন্নয়নে পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ধনী গরিবের আয় বৈষম্য কমিয়ে আনা, জলবায়ু পরিবর্তন, যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান, আগামী দিনের কিশোর-কিশোরীদের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জাতীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন প্রতিবেদন-২০২১ উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর মাধ্যমে মানব সম্পদ উন্নয়নে সরকারের কর্মসূচী আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করা করল। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। এই দুই উদযাপন কেন্দ্র করে চলতি বছরের শুরুতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ হতে জাতীয় মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন (এনএইচডিআর) প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ সংক্রান্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে। মূল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জনগণই সকল উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু। পঞ্চাশ বছরের উন্নয়ন পথপরিক্রমায় বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, জাতির পিতার দূরদৃষ্টি ও উন্নয়ন ভাবনা এবং প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্ব এ যাত্রার পথপ্রদর্শক। প্রতিবেদনে উল্লিখিত পাঁচটি কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ আপন গতিতে এগিয়ে যাবে। একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাফল্য আসবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সামনে জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মতো কর্মসূচী রয়েছে, যা আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে। এর আগে ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাবে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে জাতিসংঘ। এর পাশাপাশি আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশের মর্যাদায় পৌঁছবে বাংলাদেশ। এসব অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের জন্য করণীয় সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করা হয়েছে। মানব সম্পদ প্রতিবেদনের কপি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতীয় মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন-২০২১ উন্নয়ন আলোচনায়, গবেষণায় এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যত মানব উন্নয়নের লক্ষ্যে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
×