ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

রাজশাহীর দুঃখ ভদ্রা সড়ক

প্রকাশিত: ২১:৩৮, ৩ অক্টোবর ২০২১

রাজশাহীর দুঃখ ভদ্রা সড়ক

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ নগরীর ভদ্রা (স্মৃতি অঞ্চন) থেকে নওদাপাড়া আন্তঃবিভাগ বাস টার্মিনাল মাত্র চার কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় পুরো সড়ক এখন খানা-খন্দে ভরা। ঝুঁকি নিয়ে চলছে উত্তরাঞ্চলগামী বিভিন্ন রুটের যাত্রীবাহী বাস। তবে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন বলছে, এ সড়কে চলাচলকারীদের দুঃখ ঘুচতে যাচ্ছে এবার। আধুনিক হচ্ছে ভাঙাচোরা সড়কটি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এক যুগ আগে রাজশাহী নগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকার ভেতরে সড়কটি নির্মাণ করেছিল রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ)। তবে রক্ষণাবেক্ষণ না থাকায় কয়েক বছরের মাথায় সড়কটি খানাখন্দে ভরে যায়। সরেজমিনে দেখা যায় সড়কটির বেহাল দশা। সড়কজুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। বর্ষায় কাদাপানিতে একাকার হয়ে আছে। এর ভেতরেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। স্থানীয়রা বলছেন, রাস্তাটিতে রিক্সা-অটোরিক্সা যেতে চায় না। যারা যেতে চান, তারা বাড়তি ভাড়া চেয়ে বসেন। তাদের ভোগান্তির শেষ নেই। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক নূর ইসলাম বলেন, এরই মধ্যে প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। রাস্তায় কিছু গাছ, বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। সেগুলো সরানো হলে দ্রæতই শুরু হবে রাস্তার কাজ। পেঁচাকোলা-নাটিয়াবাড়ি সড়ক বেহাল নিজস্ব সংবাদদাতা পাবনা থেকে জানান, বেড়া উপজেলার পেঁচাকোলা চারমাথা মোড় থেকে নাটিয়াবাড়ী পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ কাম সড়ক দীর্ঘকাল সংস্কার না করায় জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। সড়কটির পিচ, খোয়া উঠে অসংখ্য ছোটবড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস, ট্রাক, রিক্সাভ্যান চলাচল করেছে। তবে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় বেড়া ও সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার চরাঞ্চলের হাজার হাজার কৃষক কৃষিপণ্য বিক্রিতে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী জানিয়েছে বেড়া ও চৌহালীর কল্যাণপুর, পূর্বশ্রীকণ্ঠদিয়া, চর সাফুল্লা, আগবাকসোয়া, কাজীপাড়া, চরনাগদাহ, চরপাইখন্দ, চরসাড়াসিয়া, চরনাকালিয়া, হাটাইল, আড়ালিয়া, চরমিনাদিয়া, উমরপুর, শৌলজানা, সম্ভুদিয়া, চরভারেঙাগা, রেহাইদুর্গাপুর, সম্ভুদিয়া, বাচামারা, বাঘুটিটিয়া পারুলিয়াসহ ৫০-৬০টি চরের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান, পাট, বাদাম, সরিষা তিল, তিসি, মাসকালাইসহ বিভিন্ন পণ্য প্রতিদিন নৌকায় বেড়ার নাকালিয়া বাজারে বিক্রি করতে আসেন। আবার নাকালিয়া থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী কিনে তারা বাড়ি ফেরেন। তবে নাকালিয়া বাজার সড়কের বন্যা নিয়ন্ত্রণ সড়কটির বেহাল অবস্থায় সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে চরাঞ্চলের কৃষকরা। এলজিইডি পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ অনিসুর রহমান মণ্ডল জানান সড়কের সবচেয়ে খারাপ অংশের সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বাকি ৫ দশমিক ৩০০ কিলোমিটার রাস্তা আগামী বছর বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে সংস্কার করা হবে। আত্রাইয়ে সড়ক যেন জলাশয় নিজস্ব সংবাদদাতা নওগাঁ থেকে জানান, নওগাঁর আত্রাই উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন জনগুরুত্বপূর্ণ প্রধান সড়কটির এখন বেহাল দশা। সড়ক তো নয়, যেন ছোট একটি জলাশয়। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ফলে পথচারী ও যানবাহন চালকদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। এছাড়া ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ তো আছেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আত্রাই-সিংড়া পাকা সড়কের সাহেবগঞ্জ নামক স্থানে পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের এই অংশটি কাদা-পানি জমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই বৃষ্টির পানি ও বাসা বাড়ির ড্রেনের পানিতে একাকার হয়ে যায় এ স্থানটি। অল্পতেই পানি দুর্গন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও উপজেলার পাঁচুপুর ও বিশা ইউনিয়নের সড়ক সংলগ্ন প্রায় অর্ধশত গ্রামের লোকজনের যোগাযোগের একমাত্র নির্ভর এ সড়কটি। উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম বলেন, পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় এ দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। সাহেবগঞ্জ মরহুম গোলামের বাড়ি থেকে পাথাইলঝাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে নদী পর্যন্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা করলে এলাকাবাসীর এ দুর্ভোগ লাঘব হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ফকিরহাটে সড়ক এখন মরণফাঁদ স্টাফ রিপোর্টার বাগেরহাট থেকে জানান, ফকিরহাটে অর্ধশতাধিক জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ভারি যানবাহন চলাচল করার কারণে ভেঙ্গেচুরে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগ বাড়ছে। দুর্ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতর কর্তৃক নির্মিত গ্রাম্য এই রাস্তাগুলো দিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভারি ভারি যানবাহন চলাচল করার করণে রাস্তাগুলোর এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলা ৮টি ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল রাস্তাগুলো ভেঙ্গেচুরে তা এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার কাটাখালী বাসস্ট্যান্ড হতে শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজ হয়ে জমিদার বাড়ির রাস্তা, টাউন নওয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে শ্যামবাগাত রাস্তা, শুকদাড়া মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামার হতে কাঠালতলা রাস্তা, সাধুর সাধের বটতলা ভায়া মানসা-বাহিরদিয়া রাস্তা, গাবলালী ভায়া লালচন্দ্রপুর হয়ে পালেরহাট রাস্তা, তেলিরপুকুর ভায়া পাগলা দাশপাড়া রাস্তা, গাবখালী ভায়া লখপুর রাস্তা, জলছত্র বটতলা ভায়া কাটাখালী রাস্তা, জলছত্র বটতলা ভায়া লখপুর বাসস্ট্যান্ড রাস্তা, টাউন নওয়াপাড়ার আমতলা ভায়া বৈলতলী রাস্তা, সুইচগেট ভায়া ভাগের জঙ্গাল বৈলতলী রাস্তা, সদরের ব্রাক অফিস ভায়া উপজেলা রাস্তা, নলধা সাহেব আলী মোড় হতে ডহর মৌভোগ রাস্তা, খড়রিয়া স্কুল মোড় হতে নলধা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তা, বাহিরদিয়া বালেভিটা মাঠ হতে পালপাড়া হয়ে মৌভোগ ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা, ঘাটভোগ ব্রিজ হতে মানসা বাজার রাস্তা, কাঠালতলা ভায়া পাইকপাড়া রাস্তা ও শ্যামবাগাত ভায়া মাসকাটা বেতাগা বাজার রাস্তাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম্য পিচ ঢালা রাস্তা ভেঙ্গে চুরে তা এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভায়াবহ রাস্তা হচ্ছে, কাটাখালী ভায়া জলছত্র বটতলা ও শ্যামবাগাত ভায়া মাসকাটা রাস্তা। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতর (এলজিইডি) ফকিরহাটের উপজেলা প্রকৌশলী এম এম এ বকরের সঙ্গে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, সদ্য দুটি রাস্তার টেন্ডার হয়েছে, এবং দ্রæত ৫/৬টি রাস্তার টেন্ডার হবে। এছাড়াও আরও ২০/২৫টি রাস্তার ইস্টিমিট তৈরি করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
×