
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বকেয়া বেতন পরিশোধে কর্তৃপক্ষ ওয়াদা রক্ষার ব্যর্থতায় কাজ বন্ধ করে দিয়ে আবারও আন্দোলনে দৈনিক জনকণ্ঠের সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। যে কারণে আজ রবিবারের প্রিন্ট সংস্করণ প্রকাশিত হয়নি।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে লাগাতার কর্মবিরতি চলছে। মালিককে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবিরাম কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
সর্বশেষ রবিবার সকাল ৯টায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দৈনিক জনকণ্ঠ ইউনিটের প্রধান ও পত্রিকাটির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রাজন ভট্টাচার্য বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা শান্তিপুর্নভাবে কর্মবিরতি পালন করছি।
গত অক্টোবর মাসের শুরুতে বকেয়া বেতনের দাবিতে কাজ বন্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন জনকণ্ঠের কর্মীরা। পরে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সব বকেয়া পরিশোধে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে সেই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান, নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়সহ পত্রিকাটির দায়িত্বশীল অন্যরা ওই সময় মালিকের সঙ্গে আলোচনা করে ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধের দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
দৈনিক জনকণ্ঠের সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের, সর্বোচ্চ ২৬ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। এর আগে আন্দোলনের সময় মালিকপক্ষ সব বকেয়া ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পরিশোধের আশ্বাস দেয়।
শনিবার বিকালে বকেয়া পরিশোধের অগ্রগতি জানতে চাইলে দায়িত্বশীলরা স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছিলেন না। পরে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে দৈনিক জনকণ্ঠের মালিক ও সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদের সঙ্গে দেখা করলে তিনি জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করা সম্ভব হবে না।
এমন খবরে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হন প্রতিষ্ঠানটির সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য কর্মকর্তারা জনকণ্ঠ ভবনে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।