
ঈদের চাঁদ
নকুল শর্ম্মা
ঈদের খুশি হাসছে দেখো
বাঁকা চাঁদের ঠোঁটে,
কোথায় তোরা খোকা-খুকু
দেখবি আয় রে ছুটে।
আর দেরি নয় রাত পোহালেই
ঈদের খুশির দিন।
খোকা-খুকুর মন খুশিতে
নাচছে তা-ধিন-ধিন।
মায়ের কাছে বায়না খোকার
বলছে চুপিচুপি,
ঈদগাহে আজ যাবে খোকা
মাথায় পরে টুপি।
তাই তো খোকা পোশাক পরে
গায়ে আতর মেখে,
দাদুর সাথে চলছে সকল
খেলাধুলা রেখে।
তিনটি ছড়া
কামাল হোসাইন
এক
বাঁশের মাচায় আলো করে
ফুল ফুটেছে ঝিঙে,
হলুদ ঝিঙের হাসি দেখে
নাচে ফড়িং, ফিঙে।
তার সঙ্গে লাফায় ভারি
দুই দোয়েলের ছানা
ফিঙে ফড়িং-দোয়েল মিলে
গাইছে মধুর গানা।
দুই
ঘাসে ঘাসে ফড়িং নাচে,
তার সাথে চার ছানা আছে
কোথা থেকে কোথায় যাবে
বলতে কারও মানা আছে!
দূরের গাঁয়ে নানা আছে,
যেহেতু তার ডানা আছে,
উড়বে ডানা মেলেÑ
হালকা বাতাস পেলে।
তিন
ছড়ার ছবি রাতের আকাশ
চাঁদ তারাতে গল্প করে,
চাঁদ টলমল মেঘের সাথে
লুকোচুরি অল্প করে!
ঈদ এলে
আবদুল লতিফ
কাননের ফুল হাসে
পাখি হাসে ডালে
টলমল জল হাসে
নদী নালা খালে।
চঞ্চল বায়ু হাসে
রোদ হাসে মাঠে
হাসিমুখে সূর্যটা
চলে যায় পাটে।
আকাশের তারা হাসে
সাথে হাসে চাঁদ
ঈদ এলে সবে মিলে
করি আহ্লাদ।
ঈদ এলে সব ভুলে
মিলি একসাথে
ধনী আর গরিবের
নাই ভেদ তাতে।
প্যানেল