ছবিঃ সংগৃহীত
পাকিস্তানের সঙ্গে চলতি মাসের শুরুর দিকে সংঘটিত স্বল্পমেয়াদি সামরিক সংঘর্ষে যুদ্ধবিমান হারানোর বিষয়টি প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে ভারত। তবে দেশটি এখনও স্পষ্ট করেনি— কতগুলো বা কী ধরনের যুদ্ধবিমান তারা হারিয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক উত্তেজনার পর এবার ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া থেকে একধাপ পিছিয়ে আসে। ওই সংঘাতে সীমান্তবর্তী গোলাগুলিতে বহু বেসামরিক লোক প্রাণ হারান এবং উভয় পক্ষই ড্রোন হামলা চালায়।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী দাবি করে, সংঘর্ষের শুরুর দিকে তারা ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে তিনটি ছিল ফরাসি নির্মিত রাফায়েল (Rafale) বিমান। ভারত এবং পাকিস্তান উভয়ই একে অপরের যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করে। ওই ‘ডগফাইট’ বা আকাশযুদ্ধে উভয় পক্ষের ১২৫টির বেশি বিমান অংশ নেয় বলে জানা গেছে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় আকাশযুদ্ধ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত শ্যাংরি-লা ডায়ালগে ব্লুমবার্গ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান বলেন, “মূল বিষয়টি হল, কেবল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়া নয়, বরং কেন তা ঘটেছিল— সেটিই গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি আরও বলেন, “ভালো দিকটি হলো, আমরা আমাদের কৌশলগত ভুলটি বুঝতে পেরেছি, সেটিকে সংশোধন করেছি এবং মাত্র দুই দিন পর আবার সব যুদ্ধবিমান উড়িয়েছি এবং দূরপাল্লার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছি।”
রয়টার্সকে দেওয়া অন্য এক বক্তব্যে জেনারেল চৌহান বলেন, কৌশল সংশোধনের পর ৭, ৮ এবং ১০ মে তারা আবার বিপুল সংখ্যক যুদ্ধবিমান নিয়ে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে গভীরতর স্থানে অভিযান চালায় এবং সব ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অগ্রাহ্য করে নির্ভুলভাবে টার্গেট করে হামলা করে।
তিনি জানান, “১০ তারিখে ভারতীয় বিমানবাহিনী সব ধরনের বিমান এবং অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে পাকিস্তানে অভিযান চালায়।”
ভারতের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছিল, ১০ মে তারা পাকিস্তানের অন্তত আটটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়, যার মধ্যে একটি ছিল রাজধানী ইসলামাবাদের কাছাকাছি।
তবে, যুদ্ধবিমান হারানোর সংখ্যা এবং ধরন নিয়ে এখনও ভারতের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবরণ পাওয়া যায়নি।
সূত্রঃ https://www.independent.co.uk/asia/india/india-pakistan-war-rafale-fighter-jet-downed-b2761216.html
ইমরান
