
ছবি: জনকণ্ঠ
ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাড়ির পাশেই গড়ে উঠেছে একটি অপূর্ব সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থাপনা। এটি এখন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে দূর-দূরান্তের দর্শনার্থীদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে নির্মিত এই বাড়ি ও ঘাটলাটি যেন একটি জীবন্ত শিল্পকর্ম—স্থাপত্য, প্রকৃতি ও সংস্কৃতির অপূর্ব সংমিশ্রণ। শ্রীপুরে মনোমুগ্ধকর এই স্থাপত্যশৈলীর দৃষ্টিনন্দন বাড়ি ও ঘাটলা এখন সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।
ঘাটলার প্রবেশপথেই চোখে পড়ে বিশালাকৃতির দুটি শ্বেত পদ্মফুলের ভাস্কর্য, যা সৌন্দর্যে অনন্য। সিমেন্ট-আরসিসি দিয়ে তৈরি সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠলেই সামনে দেখা মেলে এক মনোরম উঠোন, যার পাশেই রয়েছে শ্বেতশুভ্র ভবনটি। বাড়ির স্থাপত্যে রয়েছে প্রাচীন রাজপ্রাসাদের ছোঁয়া, যেখানে আধুনিক নির্মাণশৈলীর সঙ্গে মিশে আছে বাংলার ঐতিহ্য।
স্থাপনাটির চারপাশ ঘিরে রয়েছে সারি সারি নারকেল ও খেজুরগাছ, যা প্রাকৃতিক শীতলতা ও ছায়া প্রদান করে। পুরো জায়গাজুড়ে রয়েছে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং সুপরিকল্পিত ল্যান্ডস্কেপিং, যা দর্শনার্থীদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, “আগে এই জায়গাটি ছিল সাধারণ একটি মাঠের মতো, কিন্তু এখন এটি আমাদের গ্রামের গর্ব। অনেকেই ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে আসেন এখানে সময় কাটাতে।” তারা আরও বলেন, “এখানে অনেক বিয়ের ফটোশুট, প্রি-ওয়েডিং সেশন এবং ভিডিও নির্মাণ হচ্ছে।”
এই স্থাপনাটি শুধুই একটি বাড়ি নয়; এটি যেন একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বা সম্ভাব্য পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পর্যটন বিভাগ যদি যথাযথ উদ্যোগ নেয়, তাহলে এই জায়গাটি ভবিষ্যতে ফেনীর অন্যতম দর্শনীয় স্থানে পরিণত হতে পারে।
ফুলগাজীর শ্রীপুর গ্রামের এই দৃষ্টিনন্দন বাড়ি ও ঘাটলা কেবল স্থাপত্যের দিক থেকেই নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বেও একটি অনন্য উদাহরণ হয়ে উঠেছে। এটি প্রমাণ করে, সৃজনশীলতা ও সৌন্দর্যবোধ থাকলে প্রত্যন্ত গ্রামেও গড়ে তোলা যায় আন্তর্জাতিক মানের একটি স্থাপনা।
মুমু