
ছবি:সংগৃহীত
সুস্থ থাকতে প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদানের ওপর নির্ভরতা দিন দিন বাড়ছে। এমনই এক পুষ্টিকর ও উপকারী ফল হলো ডুমুর, যা শুকনো অবস্থায় পরিচিত ‘আঞ্জির’ বা ‘anjeer’ নামে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন সকালে ২-৩টি ডুমুর রাতভর পানিতে ভিজিয়ে খেলে শরীরের জন্য নানা দিক থেকে উপকার পাওয়া যায়। নিচে এর ৮টি উল্লেখযোগ্য উপকারিতা তুলে ধরা হলো
১. হজমশক্তি উন্নত করে
ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ (ফাইবার) রয়েছে, যা হজম প্রক্রিয়া মসৃণ করতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও অন্ত্র পরিষ্কার রাখে।
২. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
ভেজানো ডুমুর খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা অনুভূত হয়, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে। এটি স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৩. হৃদ্রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে
ডুমুরে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এতে করে হৃদ্রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে উপকারী
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত ভেজানো ডুমুর খেলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
৫. হাড় মজবুত করে
ডুমুরে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস থাকে, যা হাড়ের গঠন মজবুত করতে সহায়তা করে। এটি অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে কার্যকর।
৬. ত্বককে উজ্জ্বল করে
ডুমুরে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের উজ্জ্বলতা ও তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। এটি ব্রণ ও চামড়ার রুক্ষতা কমায়।
৭. হরমোন ব্যালান্স বজায় রাখে
বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে হরমোনজনিত বিভিন্ন সমস্যা, যেমন পিসিওডি বা অনিয়মিত মাসিক চক্রে ভেজানো ডুমুর উপকারী হিসেবে কাজ করে।
৮. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
ডুমুরে থাকা ভিটামিন এ, বি, ও সি এবং বিভিন্ন মিনারেল শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে। ফলে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে ওঠে।
পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দেন, ভেজানো ডুমুর খাওয়ার সেরা সময় হলো খালি পেটে সকালে। তবে যাদের বিশেষ কোনো শারীরিক সমস্যা আছে, তাদের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আঁখি