
আফ্রিকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত দেশ অ্যাংগোলা, এতদিন বিশ্ব পর্যটনের মূলধারায় তেমনভাবে আলোচনায় আসেনি। তবে সম্প্রতি সিএনএন ট্রাভেলের এক বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশের পর, এই দেশের অবাক করে দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং অব্যবহৃত ভ্রমণ গন্তব্যগুলি বিশ্ববাসীর নজর কাড়ছে।
গোপন সৌন্দর্যে ভরা এক দেশ
প্রতিবেদন বলছে, অ্যাংগোলা এমন এক দেশ যেখানে পর্যটনের গ্ল্যামার নেই, নেই ভিড় বা কৃত্রিমতা—বরং আছে বিস্তৃত মরুভূমি, পাহাড়, নদী, জঙ্গল এবং নির্জন সাদা বালির সৈকত।
সাফারি আর বন্যজীবনের অভয়ারণ্য
আয়োনা ন্যাশনাল পার্ক—একসময় যেখানে সেনা ঘাঁটি ছিল, সেখানে এখন ঘুরে বেড়ায় হাতি, চিতাবাঘ, জেব্রা ও নানা ধরনের হরিণ। এখানে প্রতিদিনের সূর্যাস্ত যেন ক্যানভাসে আঁকা এক শিল্পকর্ম।
সার্ফারদের নতুন স্বর্গ
অ্যাংগোলার কাবো লেদো সৈকত এখন হয়ে উঠছে বিশ্বের নতুন সার্ফিং গন্তব্য। এখানকার ঢেউ শুধু চ্যালেঞ্জই ছুঁড়ে দেয় না, বরং প্রকৃতির সান্নিধ্যও দেয় অজস্র।
ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের ছোঁয়া
রাজা-মহারাজার যুগের কিং এনজিঙ্গার পদচিহ্ন এখনো দেখা যায় মালাঞ্জের পাহাড়ি পথে। আর রাজধানী লুয়ান্ডা শহরের কাছেই রয়েছে মিরাদোরা দা লুয়া, যা চাঁদের মত দেখতে এক বিস্ময়কর পাহাড়ি গঠন।
খাবার ও আতিথেয়তা
সাধারণ মানুষের মাঝে আতিথেয়তা অসাধারণ। স্থানীয় বাজারে মিলছে গরুর দুধে তৈরি চিজ, হাতে ভাজা ডোনাট আর পাহাড়ি ছাগলের কাবাব। আর আছে ছোট্ট কাফে ও লাইব্রেরি, যেখানে চায়ের কাপের পাশে শুনতে পাওয়া যায় দেশটির যুদ্ধজর্জর অতীতের গল্প।
ভ্রমণার্থে প্রস্তুতি
বর্তমানে অ্যাংগোলাতে পর্যটন কাঠামো ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে। রয়েছে কিছু উচ্চমানের গাইডেড ট্যুর, যেখানে স্থানীয়দের মাধ্যমে পর্যটকরা প্রকৃতি ও সংস্কৃতিকে ঘনিষ্ঠভাবে জানতে পারেন।
অ্যাংগোলা ভ্রমণে গেলে পূর্ব-প্রস্তুতি, স্থানীয় গাইডের সহায়তা এবং নিরাপত্তা বিষয়ক তথ্য ভালোভাবে জানা জরুরি। তবে যারা নতুন, নির্জন, অপ্রচলিত গন্তব্য খুঁজছেন—তাদের জন্য অ্যাংগোলা হতে পারে আদর্শ স্বপ্নভূমি।
Jahan