
ছবিঃ সংগৃহীত
ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ—এই দুই রোগ যেন এখন ঘরে ঘরে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাস ও মানসিক চাপের কারণে দিনকে দিন এই সমস্যাগুলো বাড়ছে। তবে একটু সচেতন হলে খাদ্য তালিকার মাধ্যমেই এদের অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিনের পাতে কিছু নির্দিষ্ট খাবার রাখলে রক্তে শর্করার মাত্রা ও রক্তচাপ সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, এমন ৫টি খাবার যা প্রতিদিন খেলে শরীর থাকবে সুস্থ ও ভারসাম্যপূর্ণ।
🥦 ১. সবুজ শাকসবজি (পালং শাক, মুলা শাক, কলমি শাক)
সবুজ শাকে রয়েছে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও আঁশ। এগুলো রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ কমাতে সহায়ক।
খাওয়ার টিপস: হালকা ভাপানো বা ঝোল করে খাওয়া ভালো।
🥜 ২. বাদাম (আমন্ড, আখরোট, চিনাবাদাম)
বাদামে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন ও ফাইবার, যা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি হৃদ্রোগ প্রতিরোধেও কার্যকর।
খাওয়ার টিপস: ভেজানো বাদাম সকালে খালি পেটে খেতে পারেন।
🐟 ৩. ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ (ইলিশ, রুই, টুনা)
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ও হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখে। মাছে থাকা প্রোটিন ও ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
খাওয়ার টিপস: ভাজা না করে ঝোল বা গ্রিল করে খাওয়া ভালো।
🥗 ৪. লেবু ও টক জাতীয় ফল (বেড়ি, জাম, কমলা)
টক ফল রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়তে দেয় না এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর থাকায় শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়।
খাওয়ার টিপস: দুপুর বা বিকেলের নাস্তায় রাখতে পারেন।
🍚 ৫. লাল চাল বা ব্রাউন রাইস
সাদা চালের চেয়ে লাল চালে রয়েছে বেশি ফাইবার ও কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
খাওয়ার টিপস: দিনে অন্তত একবেলা লাল চাল খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন।
📌 বিশেষ পরামর্শ:
👉 ভাজাপোড়া ও বেশি লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
👉 নিয়মিত ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত পানি পান করাও অত্যন্ত জরুরি।
👉 ডায়াবেটিস বা হাই ব্লাড প্রেশারের ওষুধ খেলে নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
শেষ কথা:
সুস্থ থাকতে খাদ্যাভ্যাসে আনুন পরিবর্তন। প্রতিদিনের পাতেই লুকিয়ে আছে সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি। এসব খাবার নিয়ম করে খেলে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে সহজেই—বিনা ওষুধেই মিলবে দীর্ঘস্থায়ী উপকার।
আলীম