ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

মধু কেন খাবেন?

রুহুল আমিন, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, ডিমলা (নীলফামারী)

প্রকাশিত: ০১:২১, ১৫ জুন ২০২৫

মধু কেন খাবেন?

ছবি: সংগৃহীত

প্রাকৃতিক মিষ্টি হিসেবে পরিচিত মধু পুষ্টিগুণে অনন্য। এতে রয়েছে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ নামক দুটি প্রাকৃতিক শর্করা, যা শরীরের জন্য উপকারী। এক টেবিল চামচ মধুতে থাকে প্রায় ৬১ ক্যালোরি ও ১৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। এতে কোনো চর্বি নেই। তবে মনে রাখতে হবে—মধু এক ধরনের চিনি, অতএব অতিরিক্ত গ্রহণ নয়, বরং নির্ধারিত পরিমাণে খেলেই মিলবে নানা উপকারিতা।

● রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়ায়
মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের ভেতরে-বাইরে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা অনাকাঙ্ক্ষিত সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

● হৃদরোগে উপকারী
এক চামচ মৌরি গুঁড়োর সঙ্গে এক বা দুই চামচ মধুর মিশ্রণ হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকর। এটি হৃদপেশিকে সবল করে ও এর কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

● ওজন কমাতে সহায়ক
মধু পাকস্থলী থেকে গ্লুকোজ নিঃসরণ বাড়িয়ে মস্তিষ্কে সুগার লেভেল বাড়ায়, ফলে মেদ কমানোর হরমোনের নিঃসরণে সহায়তা করে। এতে ওজন কমানোর একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া সক্রিয় হয়।

● অনিদ্রায় কার্যকর
মধু অনিদ্রা দূর করতে সাহায্য করে। রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সঙ্গে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে তা গভীর ঘুমে সহায়তা করে।

● কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, যা ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়ক। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চা চামচ খাঁটি মধু খেলে কোষ্ঠবদ্ধতা ও অম্লত্ব দূর হয়।

● হজমশক্তি বাড়ায়
মধু পাকস্থলীর কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে হজমে সাহায্য করে। এটি হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়, ফলে বমিভাব, অরুচি, বুক জ্বালাসহ নানা গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় উপশম মেলে।

 

ফরিদ 

×