ছবিঃ সংগৃহীত
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের মধ্যে প্রোস্টেট ও মূত্রাশয় ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে সঠিক জীবনধারার মাধ্যমে এই ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
এই উপলক্ষে, সি কে বিড়লা হাসপাতাল, গুরগাঁও-এর ইউরোলজি বিশেষজ্ঞ ড. শালাভ আগরওয়াল একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “প্রোস্টেট ও ব্লাডার ক্যানসার পুরুষদের মধ্যে অন্যতম সাধারণ ইউরোলজিক্যাল ক্যানসার। বয়স ও জেনেটিক্স গুরুত্বপূর্ণ হলেও, কিছু পরিবর্তনযোগ্য অভ্যাস এই ঝুঁকি কমাতে পারে।”
ডা. আগরওয়াল পুরুষদের জন্য নিম্নোক্ত ৬টি পরামর্শ দিয়েছেন:
১. সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর ফল ও সবজি (বিশেষ করে টমেটো, ব্রকলি, পাতাযুক্ত শাক) বেশি করে খেতে হবে। প্রক্রিয়াজাত ও লাল মাংস এড়িয়ে চলুন। পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট বাদ দিয়ে পুরো শস্য খেতে হবে এবং ওমেগা-৩ যুক্ত খাবার যেমন: বাদাম, ফ্ল্যাক্সসিড ও চর্বিযুক্ত মাছ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
২. শরীরকে হাইড্রেট রাখা
প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করুন। এটি মূত্রথলির টক্সিন ধুয়ে ফেলতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত ক্যাফেইন, অ্যালকোহল এবং চিনিযুক্ত পানীয় এড়ানো উচিত, কারণ এগুলো ব্লাডারের আস্তরণে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে।
৩. তামাক থেকে বিরত থাকা
ধূমপান ব্লাডার ক্যানসারের প্রধান ঝুঁকিপূর্ণ কারণ। তামাকের রাসায়নিক পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে ব্লাডারে জমা হয়ে ক্ষতি করে। ধূমপান ছেড়ে দিলে দীর্ঘমেয়াদে ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
৪. নিয়মিত ব্যায়াম
সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট হালকা বা মাঝারি ব্যায়াম করুন। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে, হরমোন ব্যালেন্সে সহায়তা করে এবং শরীরে প্রদাহ কমায়, যা ক্যানসার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ।
৫. ক্ষতিকর রাসায়নিকের সংস্পর্শ এড়ানো
যদি কেউ রঙ, রাবার, চামড়া প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে কাজ করেন, তাহলে নিরাপত্তামূলক পোশাক ও নির্দেশিকা অনুসরণ করা জরুরি।
৬. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
৫০ বছরের পর কিংবা পারিবারিক ইতিহাস থাকলে আরও আগেই PSA (Prostate-Specific Antigen) টেস্ট বা মূত্র পরীক্ষা করানো উচিত। প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্তকরণে এসব স্ক্রিনিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সূত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস
নোভা
