
ছবিঃ সংগৃহীত
বর্তমান ব্যস্ত ও প্রযুক্তিনির্ভর জীবনে মানসিক প্রশান্তি খুঁজে পেতে অনেকেই নতুন নতুন শখে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বিশেষ করে শহুরে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে চিত্রাঙ্কন, সংগীতচর্চা, গাছপালা রোপণ, এমনকি কুকিং বা বেকিং-এর মতো সৃজনশীল শখের চর্চা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত শখের চর্চা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদা ইসলাম বলেন, “নিয়মিত কোনো সৃজনশীল কাজে সম্পৃক্ত থাকা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি একদিকে যেমন হতাশা দূর করে, অন্যদিকে মনোযোগ ও ধৈর্য্যও বাড়ায়।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাবেও তরুণদের মধ্যে নতুন শখের প্রতি আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। অনেকে নিজের আঁকা ছবি, গাওয়া গান বা তৈরি করা খাবারের ছবি পোস্ট করছেন এবং সেখান থেকে আয় করার সুযোগও তৈরি হচ্ছে।
অন্যদিকে, অনেকে শখকে পেশায় রূপ দেওয়ার চেষ্টাও করছেন। উদ্যোক্তা হওয়ার পথে হাঁটছেন অনেক তরুণ-তরুণী।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পড়ালেখা বা পেশাগত জীবনের পাশাপাশি অন্তত একটি শখ চর্চা করা প্রয়োজন — কারণ তা কেবল বিনোদন নয়, মানসিক শক্তিরও উৎস।
পৃথী