ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে দিনে দিনে কত কিছুই না করছেন— দামী ক্রিম, সিরাম, ফেসিয়াল, আর স্কিন কেয়ার রুটিন! কিন্তু আপনি কি জানেন, প্রতিদিন খাওয়া অতিরিক্ত চিনি হতে পারে আপনার ত্বকের অকাল বার্ধক্যের প্রধান কারণ?
চিকিৎসক ও কসমেটিক সার্জন ডা. আস্থা জানি সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছেন, অতিরিক্ত চিনি আমাদের ত্বকে যে ক্ষতি করে তা ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়। তার ভাষায় "আজ মিষ্টি খাচ্ছেন, কাল মুখটা ঝুলে যাচ্ছে!"
তিনি ব্যাখ্যা করেন, যখন আমরা বেশি চিনি খাই, তখন দেহে glycation নামের একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়। এতে চিনি আমাদের ত্বকের কোলাজেন ও ইলাস্টিন প্রোটিনের সাথে যুক্ত হয়ে পড়ে। এই দুইটি প্রোটিন ত্বককে টানটান ও কোমল রাখে। কিন্তু গ্লাইকেেশন এই প্রোটিনগুলোকে দুর্বল করে দেয়, ফলে ত্বক হয়ে পড়ে নিস্তেজ, কুঁচকে যায় ও দ্রুত বয়সের ছাপ পড়ে।
চিনির আরও ক্ষতিকর প্রভাব কী কী?
-
ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি করে: যা ব্রণ, র্যাশ ও রেডনেস বাড়ায়।
-
সূর্যের ক্ষতির প্রতি সংবেদনশীলতা বাড়ায়: বেশি চিনি খেলে UV রশ্মি থেকে ত্বক সহজেই পুড়ে যায়, ফলে দাগ ও রঙ কালচে হয়ে পড়ে।
-
ত্বকের স্বাভাবিক জৌলুস কমে যায়: ত্বক হয়ে পড়ে নিষ্প্রাণ ও রুক্ষ।
তাহলে করণীয় কী?
ডা. জানি পরামর্শ দিয়েছেন:
-
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
-
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ খাবার খান (যেমন: বেরি, বাদাম, শাকসবজি)।
-
রিফাইন্ড চিনি বাদ দিয়ে জটিল কার্বোহাইড্রেট (যেমন: ওটস, ব্রাউন রাইস) খান।
-
সূর্যরশ্মি থেকে ত্বক বাঁচাতে নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
চোখে মুখে বয়সের ছাপ পড়ুক কে চায়? তাই স্কিন কেয়ারের পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে প্লেটেও। একটু মিষ্টির লোভে যদি ত্বকের সৌন্দর্য হারিয়ে যায়, তবে সে ক্ষতি হয়তো কসমেটিকস দিয়ে পূরণ হবে না!
মিমিয়া
