
ছবিঃ সংগৃহীত
দিনাজপুরের লিচু বাগানগুলো এখন রঙে রঙিন। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে লাল লিচুর ঝুলন্ত থোকা যেন বাংলার প্রকৃতির প্রতিচ্ছবি। জেলার বিভিন্ন বাগানে এখন পাওয়া যাচ্ছে মাদ্রাজি, বোম্বাই, বেদানা, চাইনা-২, চাইনা-৩, কাঠালিসহ প্রায় ১০ জাতের লিচু।
গত বছর অতিরিক্ত গরম, ঝড় ও অতিবৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষতি হলেও এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চিত্র পুরোপুরি বদলে গেছে। কৃষক ও বাগানিদের মুখে এখন স্বস্তির হাসি। ফলন যেমন বেশি হয়েছে, তেমনি লিচুর আকারও হয়েছে বড়। ফলে জমে উঠেছে বাগান-বাজার, ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
পাইকাররা এখন বাগান থেকেই লিচু সংগ্রহ করছেন। এরপর সেগুলো ভ্যানে করে পৌঁছে যাচ্ছে শহরের পাইকারি আড়তে। বিক্রেতারা বলছেন, মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় বাজারে লিচুর উপস্থিতি যেমন বেশি, তেমনি দামেও দেখা যাচ্ছে ঊর্ধ্বগতি। অনলাইনে লিচু বিক্রিও এবার বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
সবচেয়ে বড় সুখবর এসেছে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে। মে মাসে দিনাজপুরের ‘বেদানা’ লিচু পেয়েছে ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) পণ্যের স্বীকৃতি। এর ফলে বিদেশেও দিনাজপুরের লিচুর কদর বেড়েছে চোখে পড়ার মতো।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর দিনাজপুরে ৫ হাজার ৪৯১ হেক্টর জমিতে ১০ হাজার ৪০০ টি লিচু বাগান রয়েছে। এখান থেকে প্রায় ৩৬ হাজার টন লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য দাঁড়াতে পারে ৭০০ থেকে ৯০০ কোটি টাকা পর্যন্ত।
বর্তমানে বাজারে ১০ জাতের লিচু পাওয়া গেলেও, গবেষণা চলছে আরও নতুন জাত উদ্ভাবনের লক্ষ্যে।
নোভা