ছবি: সংগৃহীত
প্রতিটি গো-হাটি থেকে বেশ খুশি খুশি মন নিয়ে ফিরছে ক্রেতারা। এমন দৃশ্য অনেকদিন পর দেখা গেল ক্রেতাদের চেহারায়। বেশ কদিন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পর শেষ মুহূর্তে ঈদ উল আযহা উপলক্ষে জমে উঠেছে স্থানীয় কোরবানির পশুর হাট।
উপজেলায় ২টি স্থায়ী ও ৯টি অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ১১টি গরুর হাট বসেছে। এবার পশুর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় বাজারে দাম স্বাভাবিক বলে আশা করছেন ক্রেতারা।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে জমজমাট কোরবানির পশুর হাট। এবারও বড় গরুর তুলনায় ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদাই বেশি।
কোরবানির পশুর হাটগুলোয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিশেষ করে জাল নোট ধরার ব্যাপারে মেশিন গরুর সুস্থতা যাচাইয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি মেডিকেলও টিম কাজ করছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবছর শাজাহানপুর উপজেলায় কুরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৫৫ হাজার ৬৬০টি। তার বিপরীতে বিভিন্ন খামারি ও প্রান্তিক কৃষক মিলে এবার ৫৭ হাজার ৪৫৩টি পশু প্রস্তুত করেছেন। এর মধ্যে ১৯ হাজার ৮৪০টি ষাঁড়, বলদ ৩ হাজার ১২৪টি, গাভী ২ হাজার ১৭৮টি, ছাগল ২৮ হাজার ৯২৬টি, ভেড়া ৩ হাজার ৩৮৫টি প্রস্তুত রয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় ১ হাজার ৭৯৩টি বেশি।
চাহিদা তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় ক্রেতাদের মন বেজায় খুশি কোরবানি দাতারা। তবে একেবারে হতাশও নয় বিক্রেতারা। মোটামুটি একটা পশুর বিক্রি করে লাভ খুব বেশি না হলে লোকসানের মুখেও পড়ছে না তারা এমনটি জানালেন, ডোমনপুকুর হাটের গরু বিক্রেতা জাকির হোসেন, নাজমুল হোসেন, সোয়াইব, মোতরাজসহ ২০/২৫ জন গরু বিক্রতা।
ফলে এবারের কোরবানির ঈদকে বলা হচ্ছে ভারসাম্যপূর্ণ ঈদ বাজার। মাঝে মাঝে কিছু হাটে ইজারাদারগণ সরকারি রেটের চেয়ে বেশি খাজনা নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। করা হচ্ছে জরিমানা।
সব মিলিয়ে দীর্ঘদিন পর একটা স্বস্তির ঈদ বাজার দেখলো শাজাহানপুরবাসী।
আবির
