
ছবি: সংগৃহীত।
পরীক্ষায় ভালো ফলাফল কিংবা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ধাপে সফলতা পেতে হলে শুধু মেধা নয়, প্রয়োজন সঠিক অধ্যয়ন কৌশল। অনেক শিক্ষার্থী দীর্ঘসময় পড়ালেখা করেও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করতে পারে না, আবার কেউ কেউ কম সময়ে স্মার্ট পদ্ধতিতে পড়েই বাজিমাত করে। এর পেছনে গোপন রহস্য হলো—ফলপ্রসূ অধ্যয়ন কৌশল।
নিচে এমন ৫টি অধ্যয়ন পদ্ধতি তুলে ধরা হলো, যা অনুসরণ করলে যেকোনো শিক্ষার্থী তার পাঠে নিশ্চিত সাফল্য অর্জন করতে পারে।
১. পোমোডোরো টেকনিক: সময় ব্যবস্থার জাদু
পড়াশোনার সময় একটানা মনোযোগ ধরে রাখা অনেকের জন্য কঠিন। পোমোডোরো কৌশলে ২৫ মিনিট পড়াশোনা করে ৫ মিনিট বিরতি নেওয়া হয়। চারটি “পোমোডোরো” সম্পন্ন হলে ১৫-৩০ মিনিটের বড় বিরতি নেওয়া হয়। এভাবে কাজ করলে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয় এবং মানসিক ক্লান্তিও কমে যায়।
২. অ্যাকটিভ রিকল: মুখস্থ নয়, বুঝে মনে রাখা
শুধু পড়ে যাওয়ার চেয়ে নিজেকে প্রশ্ন করে উত্তর খোঁজার চেষ্টা করলে শেখার ক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যায়। এটি অ্যাকটিভ রিকল নামে পরিচিত। যেমন, কোনো অধ্যায় পড়ে চোখ বন্ধ করে ভাবুন—“এই অধ্যায়ের মূল বক্তব্য কী?” এই পদ্ধতিতে মস্তিষ্ক তথ্যকে দীর্ঘমেয়াদে ধরে রাখতে পারে।
৩. স্পেসড রিপিটিশন: স্মৃতিকে দীর্ঘস্থায়ী করার কৌশল
একই বিষয় বারবার একদিনে না পড়ে বিরতিতে পড়ে মনে রাখার চেষ্টা করুন। উদাহরণস্বরূপ, আজ পড়া বিষয়টি আগামীকাল, তিন দিন পর এবং এক সপ্তাহ পর আবার রিভিশন করুন। এই ফাঁকফোকরের পুনরাবৃত্তি মস্তিষ্ককে তথ্য দীর্ঘ সময় মনে রাখতে সাহায্য করে।
৪. মাইন্ড ম্যাপিং: জটিল তথ্য সহজভাবে আয়ত্ত
মাইন্ড ম্যাপ তৈরি করে পাঠ্য বিষয়ের মূল বিষয়গুলো শাখা-প্রশাখার মতো সাজিয়ে নিলে জটিল বিষয় সহজ হয়ে যায়। এটি দৃষ্টিনন্দন এবং মস্তিষ্কের ভিজ্যুয়াল প্রসেসিং ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
৫. পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ: মনোযোগ বাড়ানোর গোপন অস্ত্র
শান্ত, আলো-বাতাসপূর্ণ এবং নির্দিষ্ট অধ্যয়নকেন্দ্রিক পরিবেশে পড়াশোনা করলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। মোবাইল ফোন, সামাজিক মাধ্যম ও অন্যান্য বিভ্রান্তিকর জিনিস থেকে দূরে থাকলে পড়ার মান অনেক ভালো হয়।
পড়ালেখার জগতে সাফল্য পেতে হলে শুধু কঠোর পরিশ্রম নয়, প্রয়োজন সঠিক কৌশল। উপরের ৫টি অধ্যয়ন কৌশল অনুসরণ করলে যেকোনো শিক্ষার্থী তার সক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়াতে পারে। মনে রাখুন, স্মার্ট ও স্ট্র্যাটেজিক পড়াশোনা-ই আসল চাবিকাঠি।
নুসরাত