
ছবি: সংগৃহীত
একটি নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে যে, অনেক ৩০ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীর হাঁটুতে অপ্রকাশ্য ক্ষয় শুরু হয়ে গেছে, যা পরবর্তীতে গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ফিনল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ওউলু-এর গবেষক জুনা তাপিও এবং আন্তি কেম্পাইনেন-এর নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে অস্টিওআর্থারাইটিস এন্ড কার্টিলেজে নামক জার্নালে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ৩০-এর কোঠায় থাকা অনেক তরুণ-তরুণীর হাঁটুতে ইতিমধ্যেই কার্টিলেজ ক্ষয় এবং হাড়ের অতিরিক্ত বৃদ্ধির লক্ষণ রয়েছে-যদিও তাদের মধ্যে অধিকাংশই কোনো রকম ব্যথা অনুভব করেন না।
গবেষণাটি নর্থেরন ফিনল্যাণ্ড বির্থ কোহর্ট ১৯৮৬ এর অংশ হিসেবে করা হয়। এতে গড় বয়স ৩৩.৭ বছর এমন ২৮৮ জন অংশগ্রহণকারীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যাদের মধ্যে প্রায় ৬১% নারী। অংশগ্রহণকারীদের হাঁটুর এমআরআই স্ক্যান, শারীরিক পরীক্ষা ও ল্যাব বিশ্লেষণ করা হয়।
অংশগ্রহণকারীদের যেই হাঁটুতে সামান্য হলেও অস্বস্তি ছিল, সেটিরই এমআরআই স্ক্যান করা হয়। দেখা যায়, অর্ধেকের বেশি মানুষের হাঁটুর সেই অংশে কার্টিলেজ ক্ষয় রয়েছে যেখানে হাঁটুর ছিপি ও উরুর হাড় যুক্ত হয়। অন্যদিকে, প্রতি চারজনের মধ্যে একজনের হাঁটুতে ক্ষয় রয়েছে যেখানে উরুর হাড় ও পায়ের হাড় যুক্ত হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, হাঁটুর আগাম ক্ষয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে শরীরের ওজন। বডি মাস ইনডেক্স যত বেশি, হাঁটুর ক্ষয় তত গুরুতর হতে দেখা গেছে।
এছাড়াও, রক্তে ইউরেটের মাত্রা, সিস্টোলিক রক্তচাপ এবং পারিবারিক ইতিহাসে হাঁটুর আর্থ্রাইটিস থাকাও এর সঙ্গে যুক্ত।
গবেষকরা মনে করছেন, ব্যথা না থাকলেও ভিতরে ভিতরে ক্ষয় চলতে পারে দীর্ঘদিন ধরে, যা পরবর্তীতে বড় ধরনের হাঁটুর রোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
সূত্র: https://shorturl.at/Ht582
মিরাজ খান