ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

মা-মেয়ে পোশাকে মিল

প্রকাশিত: ১৮:০১, ১১ মে ২০২৫

মা-মেয়ে পোশাকে মিল

মা। বাংলা শব্দে এর থেকে ছোট আর কোনো শব্দ নেই। অথচ এই ক্ষুদ্র শব্দটি এতটা বিশাল যা পরিমাপ করার সামর্থ্য কারোর নেই। মায়া, মমতা, ভালোবাসা কি নেই! মা ও সন্তানের সম্পর্ক কোনো উপমায় প্রকাশ করলে পূর্ণতা পাবে না। যে সম্পর্কের মাঝে নিহিত থাকে অসীম ভালোবাসা। সেখানে থাকে না কোনো স্বার্থের টান। সৃষ্টিলগ্ন থেকে একই ধারায় বহমান। মা ও সন্তানের সম্পর্কের মধ্যে মান-অভিমান-শাসন-বন্ধুত্বসহ থাকে নানা মাত্রা। মায়ের কোনো বিকল্প নেই। বর্তমানে মা ও সন্তানের অসীম ভালোবাসার বন্ধন প্রকাশিত হয় বিভিন্নভাবে। যা সম্প্রসারিত হয়েছে ফ্যাশন ধারায়ও। আজকাল মা-মেয়ে, মা-ছেলের মধ্যে একই নক্সার পোশাক প্রায়ই নজর কাড়ে।  
ছোট্ট মেয়ে সারা। পড়ছে ষষ্ঠ শ্রেণিতে। বোঝার পর থেকেই দেখছে মায়ের সঙ্গে তার পোশাকে থাকে বড্ড মিল। কখনো নকশা, কখনো ডিজাইন, কখনো রং কোনো না কোনো মিল থাকবেই। এখন যত বড় হচ্ছে ততই সারার মনের মধ্যে তৈরি হয়েছে মায়ের জন্য এক বন্ধুত্বের জায়গা। আজকাল দুজনার হাত ধরে হাঁটাহাঁটিতে বান্ধবী ভাবাটাও একদম বেমানান হবে না। মা-মেয়ের সম্পর্কে আলাদা মাত্রা আনতেই একই ধরনের ড্রেস পরেন, এমনটাই জানালেন সারার মা মিসেস তুলি। এর মধ্যে থাকে অকৃত্রিম ভালো লাগা। মেয়ের জন্মের পর থেকেই নিজের জন্য পিউর সুতি কাপড়ের ঢিলেঢালা ড্রেস বানানোর পাশাপাশি একই কাপড়ের টুকরো অংশ দিয়ে তৈরি করেন মেয়ের জামাও। এভাবেই চলছে দীর্ঘকাল। তবে এখন মা-মেয়ের একই ধরনের ড্রেস পরা অনেক সহজ। এখন প্রায় সকল ফ্যাশন হাউজেই পাওয়া যায় ম্যাচিং ড্রেস মা-মেয়ে অথবা বাবা-ছেলের জন্য। সারার উচ্চতা মায়ের কাছাকাছি হওয়ায়। একটু  ছোটো সাইজের জামা কিনলেই হয়ে যায়।
প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার পালিত হয় বিশ্ব মা দিবস। যদিও অনেকের মতে, মাকে ভালোবাসতে কোনো দিবস লাগে না। কথাটা একেবারেই সত্য। কিন্তু একটি দিন যদি মায়ের কাছে অন্যভাবে উপস্থাপন করা যায় তবে মন্দ কি! মায়ের ভালোলাগার অনেক জিনিস থাকে যা হয়তো আমরা বছরজুড়ে সেভাবে ভাবার সুযোগ পাই না। তবে মাকে সকল সন্তানই ভালোবাসে। তাই বছরের একটি দিন হোক না শুধু মায়ের জন্য। হতে পারে মাকে নিয়ে শপিংয়ে যাওয়া অথবা মায়ের কোনো প্রিয় জায়গায় ঘুরতে যাওয়া অথবা তার পুরনো বান্ধবীদের কাছে নিয়ে যাওয়া। মা যে খাবার পছন্দ করে সেগুলোও তার জন্য তৈরি করা যেতে পারে। আর যাদের মা অনেক দূরে থাকেন তারা কুরিয়ার সার্ভিস বা অন্য কোনো মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতে পারেন মায়ের পছন্দনীয় উপহারসামগ্রী। অথবা উপহার হিসেবে দেওয়া যেতে পারে মায়ের ভালোলাগবে এমন বই।
কর্মজীবী নারী মিসেস নুসরাত। কর্ম এবং সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন সবসময়। খুব কাছের মানুষদের জন্যও সময় বের করা খুব কঠিন। আর ছোটবেলা থেকে পরম মমতায় আগলে রাখা মা, যাকে ছাড়া তার একটি দিনও চলত না। তাকেও এখন না দেখে থাকতে হয় প্রতিনিয়ত। কখনো বছর পেরিয়ে যায় তবুও মায়ের মুখখানা ছুঁয়ে দেখতে পারেন না। রাত হলে একবার কথা বলেন ভিডিও কলে। শুধু এতটুকুর মাধ্যমেই খুঁজে ফেরেন অনবদ্য প্রশান্তি। প্রতিবার ঈদ উৎসবে মায়ের জন্য কেনাকাটা করেন ড্রেসসহ নানান পণ্যসামগ্রী। আর মা দিবসে মাকে পাঠিয়ে দেন উপহার এবং কিছু টাকা। ছোটবেলার হাজারো বিরক্তি যে মা বরণ করত ভালোলাগা হিসেবে তাকে যাই দেওয়া হোক না কেন তা হবে খুবই সামান্য। তবু ব্যস্ত জীবনের একটি দিন থাকুক শুধু মায়ের জন্য।
যে কোনো উৎসব, অনুষ্ঠান বা ঘোরাঘুরিতে প্রায়ই দেখা যায় একই নকশার ড্রেস পরা মা-মেয়ে অথবা মা-ছেলে। আর এই অনুভূতিকে কেন্দ্র করেই রং বাংলাদেশ, লা রিভ, কে ক্র্যাফট, বিশ্বরংসহ দেশীয় বুটিকস হাউজগুলো তৈরি করছে নান্দনিক কাট ও ডিজাইনের পোশাক। সন্তানের প্রতি অকৃত্তিম বন্ধন প্রকাশ করতে মায়েরা কিনতে পারেন ম্যাচিং করা পোশাক। একইভাবে সামর্থ্যবান সন্তানরাও মা দিবসের দিনটিকে অন্যভাবে উদযাপন করতে পারেন মাকে নানা উপহার দিয়ে।     Ñফ্যাশন প্রতিবেদক

প্যানেল

×