
ছবি : সংগৃহীত
দৈনিক যুগান্তরের একটি প্রতিবেদন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তার ভেরিফায়েড ফেসবুক টাইমলাইনে পত্রিকাটির প্রতিবেদনটি শেয়ার করে তিনি মন্তব্য করেন, "ফ্রেমিংটা দেখেন!", এই শব্দবন্ধ দিয়েই শুরু হয় তার ক্ষোভ প্রকাশ।
আসিফ মাহমুদ বলেন, তার ফেসবুক পেজ থেকেই দুর্নীতি বিষয়ক অভিযোগ বক্সটি চালু করা হয়, যেখানে এলজিআরডি ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট অভিযোগ আহ্বান করা হয়েছিল। তার ভাষায়, “সকালে সেই অভিযোগগুলোর একটি রিপোর্টও আমার পেজ থেকেই প্রকাশ করা হয়েছে। যেহেতু এই দুই মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধেই অভিযোগ আহ্বান করা হয়েছে, সেখানে বেশি অভিযোগ আসবে, এটাই স্বাভাবিক।”
তিনি জানান, অধিকতর স্বচ্ছতা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যেই প্রাপ্ত অভিযোগগুলোর একটি সংক্ষিপ্তসার (সিনোপসিস) প্রকাশ করা হয়েছে। প্রাপ্ত অভিযোগগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
কিন্তু পত্রিকার প্রতিবেদন নিয়ে তার আপত্তির মূল বিষয় ছিল সংবাদটির থাম্বনেইল ও ক্যাপশন। তিনি বলেন, “নিউজের পুরো কন্টেন্টই আমার পেজের পোস্ট কপি-পেস্ট। অথচ থাম্বনেইল আর ক্যাপশন দেখলে মনে হবে আমিই দুর্নীতি করছি!”
এই ঘটনার মাধ্যমে তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বনাম সেই স্বাধীনতার অপব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পাশাপাশি তিনি মন্তব্য করেন, “সম্পাদক ছাড়া উক্ত পত্রিকার বিগত সময়ের পলিটিক্যালি নিয়োগ পাওয়া কেউই বদলায়নি।”
সংবাদ কাভারেজের এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি প্রসঙ্গে সমালোচনাও উঠে আসছে সামাজিক মাধ্যমে, যেখানে বিভ্রান্তিকর শিরোনাম ও উপস্থাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন অনেকেই।
আঁখি