
ছবি: সংগৃহীত
কফি পান অনেকের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হলেও, এটি কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে? স্বাস্থ্য ও ফিটনেস কোচ থিও বার্গম্যান সম্প্রতি কফি পানের বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। মঙ্গলবার ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি কফির নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
ভিডিওর ক্যাপশনে থিও লেখেন, “আপনাকে এটা বুঝতে হবে। কফি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ভালো বিকল্প নয়!” ভিডিওতে তিনি ব্যাখ্যা করেন, কফি কতটা বিপজ্জনক হতে পারে এবং কেন নিয়মিত কফি পান করা উচিত নয়।
থিও বার্গম্যানের মতে, কফির সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এর অতিরিক্ত অম্লীয়তা। তিনি জানান, "কফি ও অন্যান্য ক্যাফেইনজাতীয় পানীয় অত্যন্ত অম্লীয়। শরীরকে এই অম্লীয়তা সামাল দিতে ক্যালসিয়াম ব্যবহার করতে হয়। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষের শরীরে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর ক্যালসিয়াম থাকে না, বরং তারা দুগ্ধজাত খাবার থেকে দূষিত ক্যালসিয়াম গ্রহণ করে।"
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন কফি পান করলে শরীরের ক্যালসিয়াম চাহিদা বেড়ে যায়, যা হাড় ও দাঁতের ক্ষতির ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
থিওর সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত কফি পান শরীর থেকে ক্যালসিয়াম নিঃসরণ বাড়িয়ে দিতে পারে, ফলে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি তৈরি হয়। একই সঙ্গে কফির অম্লীয় প্রকৃতি দাঁতের ক্ষয় ঘটাতে পারে। যদি নিয়মিত সঠিক মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা না হয়, তাহলে দাঁত হারানোর সম্ভাবনাও থেকে যায়। “যখন রক্তে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম থাকে না, তখন শরীর হাড় ও দাঁত থেকে ক্যালসিয়াম সংগ্রহ করে। ফলে কফি পান কেবল অস্টিওপোরোসিসের সম্ভাবনা বাড়ায় না, দাঁত হারানোর পথও প্রশস্ত করে। এছাড়া, কফি শরীরকে ডিহাইড্রেট করে এবং দ্রুত বার্ধক্য ঘটায়।”
থিওর দাবির পক্ষে প্রমাণ হিসেবে ২০১৮ সালে Nature.com-এ প্রকাশিত এক গবেষণার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই গবেষণায় দেখা গেছে, কোরিয়ান প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে নিয়মিত কফি পান দাঁত হারানোর সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। গবেষণাটি ইঙ্গিত দেয়, দীর্ঘমেয়াদে কফি দাঁতের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ফারুক