
ছবি: সংগৃহীত
আমরা সবাই জানি, জীবন ও সম্পর্কের ক্ষেত্রে সম্মান অর্জন করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেক সময়, আমরা নিজের অজান্তেই এমন কিছু আচরণ করি যা আমাদের সম্মান কমিয়ে দেয় বা অন্যরা আমাদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে বিরত থাকে। এই ধরনের আচরণগুলি শুধুমাত্র আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের ক্ষতি করে না, বরং পেশাগত জীবনেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
তাহলে, আপনি যদি চান যে মানুষ আপনাকে সঠিক সম্মান এবং মূল্যায়ন দেখাক, তাহলে এই ৮টি আচরণকে অবশ্যই বিদায় জানাতে হবে। চলুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই আচরণগুলো কী কী:
১. অস্বচ্ছতা বা সন্দেহজনক আচরণ
আপনি যদি আপনার কথাবার্তা বা কাজের প্রতি স্পষ্ট না হন, তবে অন্যরা কী ভাববে তা কখনই জানবেন না। আপনার উদ্দেশ্য বা সিদ্ধান্তে স্পষ্টতা না থাকলে, অন্যরা আপনাকে সন্দেহের চোখে দেখবে।
২. পরিশ্রমের অভাব
আপনার কাজের প্রতি নিষ্ঠা এবং পরিশ্রমই আপনার শ্রদ্ধা অর্জনের প্রধান পন্থা। যদি আপনি নিজের কাজের প্রতি সিরিয়াস না হন, তাহলে অন্যরা আপনাকে সম্মান করার কোনো কারণ পাবে না।
৩. অপরের সময় বা অনুভূতির প্রতি অবহেলা
যদি আপনি অন্যের অনুভূতিকে গুরুত্ব না দেন বা তাদের সময়ের মূল্য না জানেন, তবে তারা কখনোই আপনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে না।
৪. অহংকার বা আত্মকেন্দ্রিকতা
অহংকার বা সবসময় নিজেকে সেরা ভাবা অন্যদের কাছে বিরক্তিকর হতে পারে এবং এই আচরণ আপনার সম্মান কমিয়ে দেয়।
৫. শোনার আগ্রহের অভাব
যদি আপনি সবসময় নিজেকে প্রকাশ করতে চান এবং অন্যদের কথা না শোনেন, তাহলে অন্যরা মনে করবে আপনি তাদের মূল্যায়ন করেন না।
৬. অপ্রয়োজনীয় তর্ক-বিতর্ক
অপ্রয়োজনীয় বিতর্কে জড়ানো বা সব সময় অন্যদের সাথে মীমাংসা করার চেষ্টা না করা, সম্মানের ক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
৭. খারাপ ভাষার ব্যবহার
আপনার কথার ভাষা যদি অন্যদের কাছে আক্রমণাত্মক বা দুঃখজনক হয়, তাহলে তা আপনার সম্মান হ্রাস করতে পারে।
৮. নিজেকে এবং অন্যদের প্রতি অযথা কঠিন হওয়া:
নিজেকে বা অন্যদের প্রতি কঠিন মনোভাব পোষণ করলে এটি সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলে এবং সম্মান তৈরির ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হয়।
নুসরাত