ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অফিসে আপনি কি সহকর্মীর কাছে বিরক্তিকর?  

প্রকাশিত: ১৭:৪০, ২৭ মার্চ ২০২৩

অফিসে আপনি কি সহকর্মীর কাছে বিরক্তিকর?  

অফিস

অফিসেই এমন কর্মী খুঁজে পাওয়া যায় যারা সব সময় অন্যের বিষয়ে নাক গলিয়ে বেড়ায়। এমনকী তারা অনেকের জন্য ক্ষতিকরও হতে পারে! অন্যদের মনোবল ভেঙে দিতে এরা সিদ্ধহস্ত, সেইসঙ্গে নেতিবাচক মনোভাবের জন্যও সবার কাছে পরিচিত। কিছু নির্দিষ্ট স্বভাবের কারণে তারা অন্যদের কাছে অপছন্দের হয়ে ওঠে। 

জেনে নিন এ ধরনের কর্মীদের স্বভাব সম্পর্কে-

জবাবদিহিতার অভাব : প্রত্যেক কর্মীর তার কাজের জন্য জবাবদিহি করার মানসিকতা থাকতে হবে। কিন্তু কিছু কর্মী থাকে যারা নিজের ভুলের দায় নিতে পারে না, ফলে টিমে বিশৃঙ্ক্ষলার সৃষ্টি হয়। ফলে তার প্রতি অন্যদের বিশ্বাস নষ্ট হয় এবং কাজের ক্ষেত্রে নেতিবাচক পরিবেশ তৈরি হয়। 

দেরিতে অফিসে আসা : প্রতিদিন দেরি করে অফিসে এলে কে আর তাকে পছন্দ করে! নিয়মিত দেরি করে অফিসে এলে তা বস ও সহকর্মীদের জন্যও সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এই অভ্যাসের কারণে কাজের শিডিউল ও মিটিংয়ের সময়সূচি এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের ব্যক্তি অন্যদের সময়ের মূল্য দিতে জানে না। যে কারণে তারা অন্যদের কাছে অপ্রিয় হয়ে ওঠে।

অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস : অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস থাকলে সেই কর্মীকে আশেপাশের কেউ পছন্দ করে না। ধরুন কেউ নিয়মিত গোসল করে না, দাঁত মাজে না কিংবা ওয়াশরুম ব্যবহার শেষে হাত পরিষ্কার করে না, এমন সহকর্মী অন্যদের জন্যও তো বিব্রতকর, তাই না? এ ধরনের স্বভাবের কারণে মানুষ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায়ও ভুগতে পারে।

যোগাযোগে দক্ষতা না থাকা : অন্যদের সঙ্গে কার্যকরী উপায়ে যোগাযোগ করতে না পারা এবং অধিকাংশ সময়েই ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করা এ ধরনের মানুষের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এই স্বভাবের কারণে আরও অনেক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে, অনেক প্রজেক্ট ঝুলে যেতে পারে। কর্মীর যোগাযোগে দক্ষতার অভাব থাকলে তা অন্যান্য কর্মী এবং টিম মেম্বারদের ওপরেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

অন্যদের সঙ্গে গল্প করে সময় কাটানো : যেসব কর্মী সারাক্ষণ গল্প-গুজব করে কাটায় এবং বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ করতে থাকে তারা দ্রুতই অন্যদের কাছে অপছন্দের হয়ে ওঠে। এ ধরনের স্বভাব অন্যদের মনোবল নষ্ট করে, সম্পর্কে ভাঙন ধরায় এবং উৎপাদনশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

সাংগঠনিক দক্ষতা না থাকা : সাংগঠনিক এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার জ্ঞান না থাকার কারণে অনেকেই নিজে ভুক্তভোগী হয় সেইসঙ্গে অন্যান্য কর্মীদেরও সমস্যায় ফেলে। এই স্বভাবের ফলে ডেডলাইন মিস হতে পারে এবং কাজের মান কমে যেতে পারে। এ ধরনের কর্মী অন্যদের জন্যও হতাশাজনক পরিস্থিতি তৈরি করে।

এমএস

×