
ছবি: সংগৃহীত
ইসরাইলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনে ইরানের জ্যেষ্ঠ সামরিক কমান্ডার ও পরমাণু বিজ্ঞানীদের শহীদ হওয়াকে “অপূরণীয় ক্ষতি” বলে বর্ণনা করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তবে এই ক্ষতিকে দুর্বলতা নয় বরং জাতীয় প্রতিরোধের মনোবলে পরিণত হবে বলেই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
আয়াতুল্লাহ খামেনি জানান, শত্রুপক্ষের যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ উল্টো প্রতিক্রিয়া বয়ে আনবে এবং তিনি আরো জোর দিয়ে বলেন, ইরানের সামরিক ও বৈজ্ঞানিক গতিপথ এখন আরও বেগবান হবে।
এদিকে, ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেচিসকিয়ান এক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, রাশিয়া, চীন, BRICS, SCO সহ কৌশলগত অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করাই হবে তেহরানের অগ্রাধিকার।
তিনি আরও জানান, ইসরাইলের সাথে ১২ দিনের যুদ্ধ চলাকালেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সক্রিয় কূটনৈতিক বার্তা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে তেহরান। এই সময়ে ইরানি কূটনীতিকেরা সমর্থন আদায়ে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চালিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি কূটনীতিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ১২ দিনের ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশটির সামরিক ও কূটনৈতিক মঞ্চ একসঙ্গে কাজ করেছে। তার ভাষায়, কূটনৈতিক তৎপরতার ফলে বিশ্বের ১২০টির বেশি দেশ ইরানের পাশে অবস্থান নিয়েছে এবং ইরানের আত্মরক্ষাকে বৈধ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে।
আরাকচি আরও বলেন, “হামলার সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করেছেন। কেউ কেউ কয়েকদিন পর্যন্ত বাড়িতেও ফেরেননি।”
শেখ ফরিদ