
সংগৃহীত
ইরানের সঙ্গে বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ৩০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির পরিকল্পনা করেছিল এমন বিস্ফোরক দাবি উঠে এসেছে এক সিএনএন রিপোর্টে। অভিযোগ অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসন চেষ্টা করছিল ইরানে একটি “নন-এনরিচমেন্ট পারমাণবিক প্রোগ্রাম” গড়ে তুলতে, যার জন্য বরাদ্দ ছিল বিশাল অঙ্কের অর্থ: ২০ থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত।
তবে এই ইস্যুতে ট্রাম্প নিজেই মুখ খুলে বলেন, “এমন কোনো চুক্তি কখনও চূড়ান্ত হয়নি। এটি শুধু আলোচনার একটি প্রাথমিক পর্যায় ছিল।”
বিশ্ব রাজনীতির বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে মধ্যপ্রাচ্যে শক্তির ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন আসতে পারত। বিশেষ করে ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এমন একটি উদ্যোগ বিশ্বে উত্তাপ ছড়াতে যথেষ্ট ছিল।
এই প্রতিবেদন সামনে আসতেই বিশ্ব মিডিয়ায় শুরু হয়েছে আলোচনা, ইরান-আমেরিকা সম্পর্ক কি তবে নতুন মোড় নিচ্ছে? সিএনএন-এর প্রতিবেদন মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাও নাকি প্রস্তাবটি নিয়ে সন্দিহান ছিলেন।
এই মুহূর্তে বিশ্বের নজর ট্রাম্পের সেই সম্ভাব্য ৩০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির গুঞ্জনের দিকেই। সত্যিই কি এই প্রস্তাব ছিল? নাকি এটি শুধুই রাজনৈতিক চাল?বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে তা শুধু ইরান নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যে সাম্যাবস্থার উপর একটি বড় ধাক্কা হতে পারত।ট্রাম্পের বক্তব্য কিছুটা স্বস্তি দিলেও, প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে "এই চুক্তির পেছনে কী ছিল আসল উদ্দেশ্য?"
আগামী দিনগুলোতে হয়ত আরও অনেক তথ্য প্রকাশ্যে আসবে। কিন্তু আপাতত এতটুকুই স্পষ্ট ইরান-আমেরিকা সম্পর্ক আবারও এক অনিশ্চয়তার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে।
হ্যাপী