
ছবি: সংগৃহীত।
একটি গোপন ফোনালাপ থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার জন্য বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকট তৈরি করেছে। কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত ইস্যুতে সেনা কর্মকর্তাকে সমালোচনা এবং বিদেশি নেতার প্রতি নমনীয় মনোভাব প্রকাশের এই কথোপকথন ফাঁস হওয়ার পর রাজধানী ব্যাংকক জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ।
এই ইস্যু ঘিরে তার জোট সরকারের ভেতরে অনাস্থার চাপ বাড়ছে, এমনকি ক্ষমতা হারানোর শঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একটি ফোনালাপে প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্নকে কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের প্রতি অত্যন্ত নমনীয়ভাবে কথা বলতে এবং নিজ দেশের এক উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাকে সমালোচনা করতে শোনা যায়। থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক কাঠামোয় সেনাবাহিনীর ব্যাপক প্রভাব থাকায় এটি সংবেদনশীল একটি বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কম্বোডিয়ার স্বার্থে কাজ করতে গিয়ে থাইল্যান্ডের স্বার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে হুমকিতে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া অনেকের দাবি, এই ফোনালাপের পেছনে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পেতংতার্নের পিতা থাকসিন সিনাওয়াত্রার রাজনৈতিক প্রভাব।
শনিবার হাজার হাজার মানুষ বৃষ্টি উপেক্ষা করে ব্যাংককের রাস্তায় নেমে আসে। তাদের স্লোগান—"জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না", "পদত্যাগ করুন পেতংতার্ন!"।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২৩ সালে ক্ষমতায় আসার পর এটিই তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। পেতংতার্ন ইতিমধ্যে এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন, তবে বিক্ষোভকারীরা এতে সন্তুষ্ট নন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্নের জোট সরকারে ফাটল ধরার ইঙ্গিত মিলছে। সংসদের ভেতরেই তার একাধিক শরিক দলের ভিন্নমত প্রকাশ পেয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এই ঘটনার জেরে একটি অনাস্থা প্রস্তাব উঠতে পারে, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখা কঠিন হবে তার জন্য।
নুসরাত