ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ব রাজনীতির অঙ্গনে সামরিক পোশাকের জন্য পরিচিত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবার হাজির হলেন ভিন্ন রূপে—ডাচ রাজপরিবার আয়োজিত এক নৈশভোজে তিনি পরলেন কালো স্যুট। আর এতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়ে যায় তুমুল হাস্যরস ও মিমের বন্যা।
নেটদুনিয়ার এই আলোচনার সূত্রপাত ২৪ জুন নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে শুরু হওয়া ন্যাটো সম্মেলনের প্রাক্কালে। সেখানেই রাজা উইলেম-আলেকজান্ডার এবং রানি ম্যাক্সিমা রাজপ্রাসাদে আয়োজিত আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে আমন্ত্রিত ছিলেন জেলেনস্কি। অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনিও অংশ নেন এই অনুষ্ঠানে।
‘স্যুট পরে এসেছেন, তবে হোয়াইট হাউজে নয়!’
অনুষ্ঠানে কালো স্যুট ও ফিটিং কোট-প্যান্টে জেলেনস্কিকে দেখে বিস্মিত অনেকে। কারণ, যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি সাধারণত সব আন্তর্জাতিক বৈঠকে হাজির হন সামরিক পোশাক বা জলপাই-রঙা সোয়েটশার্ট পরে।
একজন এক্স (আগে টুইটার) ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘জেলেনস্কি স্যুট পরতে পারেন—হোয়াইট হাউজ বা কংগ্রেসে নয়, কিন্তু ইউরোপীয় দাতাদের জন্য ঠিকই পরলেন!’
আরেকজন রসিকতা করে লেখেন, ‘দ্য হেগে স্যুট পরেছেন, যেন ট্রাম্পের কাছে আরও অর্থ চাইতে পারেন।’
‘যুদ্ধ শেষ হলে স্যুট পরব’
জেলেনস্কির এই পোশাক পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে আরও এক মজার ইতিহাস। মার্চে হোয়াইট হাউজে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে সামরিক ধাঁচের পোশাকেই হাজির হন জেলেনস্কি। সেসময় একজন সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কোট-টাই পরেন না কেন? আপনার কি কোনো স্যুট নেই?’
জবাবে জেলেনস্কি বলেছিলেন, ‘আপনার এতে সমস্যা আছে? যুদ্ধ শেষ হলে স্যুট পরব।’
তবে এবার ডাচ রাজপরিবারের নিমন্ত্রণে সেই প্রতিশ্রুতি যেন আগেভাগেই বাস্তবায়িত হলো!
ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের স্যুট পরা নিয়ে যত আলোচনা-সমালোচনা চলুক না কেন, যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তবতা যে তার প্রতিদিনের সঙ্গী, তা কিন্তু কেউই অস্বীকার করতে পারছে না। তবে রাজকীয় নিমন্ত্রণে এই ছোট পরিবর্তন যে সামাজিক মাধ্যমে বিশাল ঝড় তুলবে, সেটি বোধহয় তিনিও ভাবেননি।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
রাকিব
