
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের কোটি কোটি ভক্তের প্রিয় তারকা অমিতাভ বচ্চনের গম্ভীর কণ্ঠ বহু বছর ধরে শোনা গেছে সরকারি সতর্কবার্তায়। করোনা সতর্কতা, সাইবার অপরাধ নিয়ে সচেতনতা কিংবা স্বাস্থ্যবিষয়ক বার্তা— সব কিছুতেই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবহার করত অমিতাভ বচ্চনের কণ্ঠে রেকর্ড করা কলার টিউন।
মোবাইল ফোনে কল করলেই শোনা যেত সেই কণ্ঠ—“সাইবার জালিয়াতি থেকে সাবধান থাকুন”, “ব্যক্তিগত তথ্য কারো সঙ্গে শেয়ার করবেন না” ইত্যাদি। প্রথমদিকে এসব বার্তা মানুষকে সচেতন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও, সময়ের সঙ্গে তা অনেকের কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে।
অনেকেই অভিযোগ করেন, জরুরি সময় ফোন করার সময় এই ধীরগতির কলার টিউন পরিস্থিতিকে আরও চাপের করে তোলে। বিশেষ করে যখন দ্রুত যোগাযোগ দরকার হয়, তখন এটি বিরক্তিকর লাগে বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিল সাধারণ মানুষ। কেউ কেউ সরাসরি অমিতাভ বচ্চনকে ট্যাগ করে বলেছিলেন, তিনি যেন আর এই ধরনের প্রচারে অংশ না নেন।
সম্প্রতি এক্স (পূর্বের টুইটার)-এ এক নেটিজেন অমিতাভকে উদ্দেশ করে লেখেন, “তাহলে এবার ফোনে এক জিনিস বারবার বলা বন্ধ করুন।” জবাবে বিগ বি লেখেন, “আমি তো নিজে বসে সেটা চালাই না, এটা সরকারের উদ্যোগ। আপনার উচিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো।”
এই সংলাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই এটি নিয়ে হাস্যরস করলেও, কেউ কেউ বলেন, মানুষ বিরক্ত হলে এমন উদ্যোগ বন্ধ করাই ভালো।
সব আলোচনা ও সমালোচনার পর অবশেষে ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আর ব্যবহার করা হবে না অমিতাভ বচ্চনের কণ্ঠে রেকর্ড করা কলার টিউন। এখন এ ধরনের বার্তা প্রচারে অন্য কোনো বিকল্প ভাবা হচ্ছে।
অর্থাৎ, ভারতের সরকারিভাবে সচেতনতা ছড়ানোর কাজে আর শোনা যাবে না অমিতাভ বচ্চনের সেই পরিচিত কণ্ঠ।
এম.কে.