
আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন রাজস্থানের ১০ জন যাত্রী। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বান্সওয়ারার প্রতীক জোশি ও ডা. কোমি ব্যাসের পরিবার। লন্ডনে একটি নতুন জীবন শুরু করার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন তাঁরা, কিন্তু নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাসে শেষ পর্যন্ত তাঁরা আর পৌঁছাতে পারলেন না।
প্রতীক জোশি পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। গত ছয় বছর ধরে তিনি লন্ডনে কর্মরত ছিলেন এবং সেখানেই নিজেকে স্থায়ীভাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছিলেন। স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে লন্ডনে একটি নতুন জীবন শুরু করার স্বপ্ন দীর্ঘদিন ধরেই লালন করেছিলেন তিনি।
সম্প্রতি ডা. কোমি ব্যাস তাঁর চিকিৎসকের পেশা ছেড়ে দিয়েছিলেন, যেন পরিবার নিয়ে বিদেশে নতুন করে জীবন শুরু করতে পারেন। সব কিছু পরিকল্পনামাফিক এগোচ্ছিল—পাসপোর্ট, টিকিট, বিদায় পর্ব—সবই সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু এ সপ্তাহে যখন তাঁদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে যাত্রা শুরু করেছিল, তখনই সবকিছু থেমে গেল এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায়।
বিমানটি আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত হলে রাজস্থানের মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়। প্রতীক জোশির পরিবারে নিহতের সংখ্যা ৫, যা পুরো বান্সওয়ারা জেলায় শোকের ছায়া নামিয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, “ওরা স্বপ্ন দেখতে জানত। এখন শুধু সেই স্বপ্নের ভাঙা টুকরোগুলো পড়ে রয়েছে।”
এই মর্মান্তিক ঘটনায় রাজ্যজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের স্মরণে প্রশাসনের তরফে শোকবার্তা জানানো হয়েছে এবং দেহগুলো রাজস্থানে ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সূত্রঃ নিউজ ১৮
রিফাত