
ছবিঃ সংগৃহীত
মধ্যরাত পেরিয়ে যখন মানুষ ঘুমিয়ে, তখন ইরানের আকাশে গর্জে উঠল ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান ও ড্রোন। দেশটির পারমাণবিক স্থাপনা, ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা ও সামরিক ঘাঁটিতে একের পর এক হামলা চালানো হয়। ইসরায়েল জানায়, তারা ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সম্ভাবনা বন্ধ করতেই এই অভিযান চালিয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দ্রুতই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক মঞ্চ। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক ভিডিও বার্তায় বলেন, "এই হামলা দুর্দান্ত হয়েছে। আমরা ইরানকে চুক্তির সুযোগ দিয়েছিলাম, তারা নেয়নি। আজ যেটা হয়েছে, সেটা শুধু শুরু—আরও আসছে।" তিনি জানান, দুই মাস আগে তিনি ইরানকে ৬০ দিনের সময় দিয়েছিলেন তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করতে। এখন সেই সময় শেষ।
হোয়াইট হাউস যদিও বলছে, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলায় সরাসরি অংশ নেয়নি, কিন্তু ট্রাম্পের মন্তব্যে বিষয়টি আরও ঘোলাটে হয়ে উঠেছে।
হামলার জবাবে ইরানও চুপ ছিল না। তারা প্রায় ১০০টি ড্রোন ছুড়েছে ইসরায়েলের দিকে, তবে ইসরায়েল বলছে, বেশিরভাগই মাঝ আকাশে ধ্বংস করা হয়েছে। নাগরিকদের জন্য জারি করা আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশও সকালে তুলে নেওয়া হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রপতি মাসউদ পেজেশকিয়ান এক আবেগঘন ভাষণে বলেন, "আমাদের নেতৃত্বের পাশে থাকুন। আমরা এমন জবাব দেব, যাতে ইসরায়েল তাদের এই ভুলের জন্য অনুশোচনায় পুড়বে।"
এই আক্রমণে ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান এবং প্রভাবশালী বিপ্লবী গার্ডের নেতারা নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ইসরায়েলি সূত্র বলছে, এই হামলার আগে থেকেই মসাদ গোপনে ইরানে অভিযান চালাচ্ছিল।
এদিকে যুদ্ধের আশঙ্কায় বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম এক লাফে ৮% বেড়ে গেছে। ইরান বলেছে, তাদের তেল শোধনাগার বা গুদামঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, উৎপাদনও চলছে।
তথ্যসূত্রঃ রয়টার্স
মারিয়া