
ইউক্রেনে ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া
যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ইউক্রেনে ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, সোমবার রাতে ৪৬০টি ড্রোন ও ১৯টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এই হামলাকে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। খবর আলজাজিরার।
মঙ্গলবার ভোরে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, তারা ৪৬০টি ড্রোন এবং ১৯টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে। ইউক্রেনের মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলে এই হামলা চালানো হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে শান্তি আলোচনার আহ্বান এবং বন্দি বিনিময়ের মধ্যেই রাশিয়া এই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল। কিয়েভের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লক্ষ্যবস্তুতে ছোড়া শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে মাত্র ১০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পেরেছে। এ ঘটনায় একজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর রিভনের মেয়র ওলেকসান্ডার ট্রেটিয়াক বলেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে একরাতে ড্রোন হামলাটি ছিল তার অঞ্চলে সবচেয়ে বড় আক্রমণ। এদিকে আবারও বন্দি বিনিময় শুরু করেছে ইউক্রেন ও রাশিয়া। এবারের পর্যায়ে প্রথম ধাপে মঙ্গলবার ২৫ বছরের কম বয়সীদের মুক্তি দেওয়া হয়। এদিন ঠিক কতজন বন্দি বিনিময় হয়েছে, তা কোনো পক্ষ থেকেই জানানো হয়নি। তবে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, উভয় পাশই সমান সংখ্যক সেনাসদস্য বিনিময় করেছে। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার নিয়মিত নৈশ ভিডিও বার্তায় বলেছেন, রুশ পক্ষের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই বন্দি বিনিময় কয়েকধাপে সম্পন্ন হবে।
চলতি মাসের ২ তারিখে ইস্তানবুলে আয়োজিত বৈঠকে এই বিনিময়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানে যুদ্ধ শেষ করার জন্য বৃহত্তর রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছতে না পারলেও যুদ্ধবন্দি এবং নিহতদের দেহ ফেরত দেওয়ার মতো মানবিক ইস্যুতে দুই পক্ষ কিছুটা ঐকমত্যে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে। এবারের বন্দি বিনিময়ের লক্ষ্য হলো গুরুতর অসুস্থ বা আহত ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দিয়ে ফিরিয়ে আনা।