ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

গোপনে ইসরায়েলের কাছে তেল বিক্রি করছে এই মুসলিম দেশ

প্রকাশিত: ১৯:৪১, ১০ জুন ২০২৫

গোপনে ইসরায়েলের কাছে তেল বিক্রি করছে এই মুসলিম দেশ

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত বর্বরতার প্রতিবাদে তেল রফতানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল মুসলিম দেশ আজারবাইজান। কিন্তু সেই ঘোষণা যে ছিল নিছক লোক দেখানো এবং প্রতারণামূলক—তা ফাঁস করে দিয়েছে ইসরায়েলের প্রভাবশালী পত্রিকা হারেৎস।

হারেৎসের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের শেষ দিকে তুরস্কের চাপের মুখে আজারবাইজান ইসরায়েলে তেল বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দেয়। এরপর তাদের কাস্টমস ডাটাবেজ থেকে ইসরায়েলে তেল রফতানির সব তথ্য মুছে ফেলা হয়।

তবে বাস্তবে কোনোদিনই সেই রফতানি বন্ধ হয়নি। বরং গোপনে আগের মতই চালু ছিল তেল সরবরাহ—এমনটাই নিশ্চিত করেছেন এক ইসরায়েলি সরকারি কর্মকর্তা। হারেৎসকে তিনি বলেন, “আমরা আজারবাইজানের কাছ থেকে জ্বালানি এবং কৌশলগত সহযোগিতা আগের মতোই পাচ্ছি। সম্পর্ক অটুট রয়েছে।”

হারেৎস আরও জানায়, ২০২৩ সালে ইসরায়েলের মোট আমদানিকৃত তেলের ৩০ শতাংশই এসেছে আজারবাইজান থেকে। গোপনে সেই নির্ভরতা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

অন্যদিকে, ২০২৩ সালের মে মাসে গাজার ওপর ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা ও তুর্কি ত্রাণবাহী ওড়োজাহাজকে গন্তব্যে পৌঁছাতে না দেওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেয় তুরস্ক।

তবে বিরোধী দলগুলোর দাবি, আজারবাইজানের তেলবাহী পাইপলাইন এখনো তুরস্কের ভেতর দিয়েই ইসরায়েলে প্রবাহিত হচ্ছে, যা এরদোয়ানের ঘোষণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। সম্প্রতি ইস্তানবুলে আজারবাইজানের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানির কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। মুসলিম পরিচয় দিয়ে দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যকে ‘ভণ্ডামি’ ও ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলে অভিহিত করেছেন তারা।

মিমিয়া

আরো পড়ুন  

×