সাহারার ধুলো আসছে আমেরিকায়: আকাশ ঢেকে যাবে বিশাল ধুলোর মেঘে!

সাহারা মরুভূমি থেকে উঠে আসা ধুলোর বিশাল মেঘ এই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের আকাশ ঢেকে দিতে চলেছে। এটি একটি বার্ষিক আবহাওয়াজনিত ঘটনা, যা সবসময় আমেরিকায় পৌঁছায় না।

এই ধুলোর মেঘ তৈরি হয় এক বিশেষ বায়ুমণ্ডলীয় ঘটনার কারণে, যাকে বলা হয় সাহারান এয়ার লেয়ার। নাম থেকেই বোঝা যায়, এই ধুলো আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি থেকে উঠে এসে আটলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। সাহারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় উষ্ণ মরুভূমি।

প্রতি বছর জুন মাসের শুরু থেকে সাহারার দক্ষিণ প্রান্তে বয়ে যাওয়া গরম ও শুষ্ক বাতাস এই ধুলোকে তুলে আকাশে নিয়ে যায়। এরপর ঘন, আর্দ্র সমুদ্রীয় বায়ু এই ধুলোকে আরও উপরের দিকে ঠেলে দেয়। প্রায় ৪ কিলোমিটার (২.৫ মাইল) পুরু হতে পারে এই ধুলোর স্তর। এটি প্রতি বছর পশ্চিমমুখী পথে আটলান্টিক পাড়ি দেয়, এবং কখনো কখনো উত্তরমুখেও ঘুরে ইউরোপেও পৌঁছে যায়।

এই ধুলোর ফলে বাতাসের গুণগত মান খারাপ হতে পারে। তবে এর একটি ইতিবাচক দিক হচ্ছে, এটি সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়া ঠেকাতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া সংস্থা NOAA ইতিমধ্যে জানিয়েছে, এ বছর ঘূর্ণিঝড় প্রবণতা বেশি থাকবে – তাই এই ধুলোর আগমন হয়তো কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে।

ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ যেমন জামাইকা, পুয়ের্তো রিকো, বার্বাডোস, ও ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ইতোমধ্যেই এই ধুলোতে ঢাকা পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা, লুইজিয়ানা, আলাবামা ও মিসিসিপিও এই ধুলোর প্রভাবে পড়তে চলেছে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

ধুলোর এই মেঘ বুধবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাবে এবং বৃহস্পতিবার সবচেয়ে ঘন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে দৃষ্টিসীমা কমে যেতে পারে। তবে হালকা বাতাসের কারণে ধীরে ধীরে ধুলো ছড়িয়ে পড়বে এবং পাতলা হয়ে যাবে।

এই ধুলোর ফলে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে, আর একই সঙ্গে তৈরি হতে পারে অসাধারণ সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁদের হাঁপানি, অ্যালার্জি বা শ্বাসকষ্ট রয়েছে, তাঁদের ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: https://l8.nu/-xxS