
ছবি: সংগৃহীত
মাত্র একদিন পরেই মুসলিম বিশ্বের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। এই পবিত্র দিনে কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে সারাদেশের পশুর হাটগুলো জমে ওঠে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বছরের এই সময় কোরবানির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে কোরবানিতে শরিক হওয়ার ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখা আবশ্যক, যা কোরবানির শুদ্ধতা নিশ্চিত করে।
কোরআন ও হাদিসে কোরবানির গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, "আপনি আপনার রবের জন্য সালাত আদায় করুন এবং কোরবানি করুন।" ইসলামী রীতিনীতি অনুযায়ী কোরবানিতে শরিক হওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। উট, গরু, মহিষ সাত ভাগে বা তার কম ভাগেও কোরবানী করা যায়। তবে ছাগল, ভেড়া, দুম্বা এক ভাগেই কোরবানি করা বাধ্যতামূলক।
শরিক নির্বাচনে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। শরিকদের মধ্যে কারো নিয়ত খারাপ হলে অন্য শরীকদের কোরবানি শুদ্ধ হবে না। কোরবানির জন্য নিয়তের শুদ্ধতা অত্যন্ত জরুরি, পাশাপাশি কোরবানির জন্য অর্থ অবশ্যই হালাল উপার্জিত হতে হবে। কেউ যদি বড়লোকি দেখানোর জন্য বা শুধু গোস্ত খাওয়ার উদ্দেশ্যে কোরবানী করেন, তাহলে শুধুমাত্র তার ভাগের গোস্তই গ্রহণযোগ্য হবে, কোরবানী হবে না। কারণ আল্লাহ বান্দার তাকওয়াকে যাচাই করেন কোরবানির মাধ্যমে।
এছাড়া হারাম অর্থ থেকে কোরবানি করলে সেটি আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। পবিত্র কোরআনেও ইরশাদ হয়েছে, "হে ঈমানদারগণ! তোমরা ব্যয় করো তোমাদের অর্জিত হালাল সম্পদ থেকে।" আল্লাহ শুধুমাত্র পবিত্র এবং হালাল অর্থ গ্রহণ করেন।
সুতরাং, কোরবানিতে শরিক হওয়ার সময় নিয়ত ও অর্থের পবিত্রতার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। এভাবে কোরবানির সঠিক ও শুদ্ধতা বজায় রেখে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে পারবো।
ফরিদ