ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৮ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

চাকরির বাজারে ধস: বেকারত্বের চাপে নতুন স্নাতকেরা

প্রকাশিত: ১০:৪৫, ২৭ মে ২০২৫

চাকরির বাজারে ধস: বেকারত্বের চাপে নতুন স্নাতকেরা

ছবি : প্রতীকী

২০২৫ সালের গ্র্যাজুয়েটদের জন্য এখন স্নাতক উদ্‌যাপনের সময়, কিন্তু চাকরি পাওয়ার বাস্তবতা মোটেই আনন্দের নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) কারণে এন্ট্রি-লেভেল চাকরির সংকট এবং সদ্য গ্র্যাজুয়েটদের বেকারত্বের হার ২০২১ সালের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম The Independent জানায়, ২৩ বছর বয়সী তরুণী জেনা জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের একটি চাকরির অফার পেয়ে দারুণ আনন্দিত হয়েছিলেন। কিন্তু মার্চের মধ্যেই সেই নিয়োগ স্থগিত হয়ে যায়, কারণ ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের নেতৃত্বে ডজ (DOGE) বাজেট কাটছাঁটের ফলে ফেডারেল কর্মচারী নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি হয়। 

এআই এবং অর্থনৈতিক চাপের কারণে এন্ট্রি-লেভেল চাকরি পাওয়া এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে সদ্য স্নাতকদের মধ্যে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৮ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৪.৫ শতাংশ। একই সময়ে আন্ডারএমপ্লয়মেন্ট হার বেড়ে হয়েছে ৪১.২ শতাংশ।

সবচেয়ে বেশি আন্ডারএমপ্লয়ড হচ্ছে নৃবিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, চারুকলা ও সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা।

এআইভিত্তিক রিজুমি স্ক্রীনিং ব্যবস্থার কারণে চাকরির জন্য আবেদন করা তরুণ-তরুণীরা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারছেন না।

“এই এআই কোন শব্দ খুঁজছে বা কোন যোগ্যতাকে গুরুত্ব দিচ্ছে, সেটা বোঝা কঠিন,” বলেন জেনা। “এতে মনে হয় পুরোটা যেন লটারি।”

তার মতে, নতুন গ্র্যাজুয়েট হিসেবে তিনি এমন কিছু করতে চান যা এআই এসে কেড়ে নিতে পারবে না।

প্রযুক্তি খাতে বেকারত্ব বেড়ে এখন ৫.৭ শতাংশ। কারণ, বহু কোম্পানি এখন এআই প্রযুক্তিতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে। যে কাজগুলো আগে নতুন স্নাতকরা করতেন—যেমন রিপোর্ট লেখা, ডেটা এন্ট্রি বা প্রশাসনিক কাজ—সেগুলো এখন করছে রোবট ও সফটওয়্যার।

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের হিসাবে, এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ১৭ কোটি চাকরি সৃষ্টি হতে পারে, তবে এর বিপরীতে হারিয়ে যাবে প্রায় ৯ কোটি ২০ লাখ চাকরি। ফলে মোট কর্মসংস্থান বৃদ্ধি হবে ৭ কোটি ৮০ লাখ।

এদিকে, ওল্ড ডোমিনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইবারসিকিউরিটি বিভাগের শিক্ষার্থী জেসি জমিক জানান, চাকরি নিয়ে তার সহপাঠীরা উদ্বিগ্ন। প্রযুক্তি খাতে অতিরিক্ত নিয়োগের পর এখন অনেক প্রতিষ্ঠান খরচ কমাচ্ছে।

 সূত্র - https://www.aol.com/college-graduates-not-finding-jobs-125126653.html

সা/ই

×