
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি সম্প্রতি জে-১০ যুদ্ধবিমানের উন্নয়ন ও সাফল্য নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করেছে। ‘দ্য লেজেন্ড অব দ্য জে-১০’ শীর্ষক এই দুই পর্বের প্রামাণ্যচিত্রটি সম্প্রচার শুরু হয়েছে ‘ন্যাশনাল মেমোরি’ নামক একটি দৈনিক অনুষ্ঠানে, যার উদ্দেশ্য হলো চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ইতিহাস ও উন্নয়নের গল্প তুলে ধরা।
এই প্রামাণ্যচিত্র সম্প্রচারের ঠিক কয়েক দিন আগেই চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ব্যবহৃত জে-১০সি যুদ্ধবিমানগুলো সম্প্রতি কাশ্মীর সীমান্তে ভারতীয় যুদ্ধবিমানের বিরুদ্ধে সফলভাবে ব্যবহার হয়েছে। চীনের দাবি অনুযায়ী, এই সংঘর্ষে ভারতীয় বিমান, যার মধ্যে তিনটি ফরাসি নির্মিত রাফাল যুদ্ধবিমানও ছিল, সেগুলো ভূপাতিত করা হয়।
৭ মে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার পার্লামেন্টে বলেন, পাকিস্তানি জে-১০সি যুদ্ধবিমান ভারতীয় যুদ্ধবিমানের বিরুদ্ধে সফলতা পেয়েছে। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এই দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করা হয়নি, তবে একটি ফরাসি সূত্র একটি ভারতীয় রাফাল বিমান হারানোর কথা নিশ্চিত করেছে।
শনিবার চীনের সিসিটিভির একটি সামরিক অনুষ্ঠানে বলা হয়, জে-১০সি-এর রপ্তানি সংস্করণ জে-১০সিই প্রথমবারের মতো বাস্তব যুদ্ধে অংশ নিয়ে একাধিক শত্রু বিমান ভূপাতিত করেছে এবং নিজে কোনো ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি।
জে-১০ একটি এক ইঞ্জিনবিশিষ্ট বহুমুখী যুদ্ধবিমান, যা ২০০৩ সালে চীনা বিমান বাহিনীতে যুক্ত হয়। এর সর্বাধুনিক সংস্করণ জে-১০সি উন্নত ইঞ্জিন ও অ্যাক্টিভ ইলেকট্রনিকালি স্ক্যানড অ্যারে (AESA) রাডারে সজ্জিত। এটি PL-15 মিসাইল ছুঁড়তে সক্ষম এবং আধুনিক ৪.৫ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান হিসেবে বিবেচিত।
এই প্রামাণ্যচিত্র এবং সাম্প্রতিক সংঘর্ষের খবরে চীনে জাতীয় গর্বের অনুভূতি প্রবল হয়েছে। চীনা তরুণদের ‘দল ও দেশের প্রতি ভালোবাসা’ জাগানোর উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সিসিটিভি।
রিফাত