
ছবিঃ সংগৃহীত
আবারও জীবনের স্পন্দন ফিরেছে গাজার একসময়ের অচল বেকারিগুলোতে। ৮১ দিন পর রুটি তৈরির স্বয়ংক্রিয় মেশিন ঘুরছে নতুন করে। ছোট ছোট খামির রুটি একে একে ওভেন থেকে বেরিয়ে আসছে বেল্টের মাধ্যমে—একটা বেকারির দৃশ্য হলেও এর পেছনে লুকিয়ে আছে ফিলিস্তিনিদের করুণ ক্ষুধার গল্প।
টানা ১১ সপ্তাহ সীমান্তে ত্রাণ আটকে থাকার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার (২২ মে) নামমাত্র ৯০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করে গাজার দেইর আল-বালাহ অঞ্চলে। এর পরপরই ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (WFP)-এর তত্ত্বাবধানে পূর্ণোদ্যমে চালু হয় বন্ধ হয়ে যাওয়া বেকারিটি। উদ্দেশ্য একটাই—দুর্ভিক্ষের মুখে থাকা সাধারণ মানুষের হাতে যত দ্রুত সম্ভব খাবার পৌঁছে দেওয়া।
স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেন, "আড়াই মাস ধরে সীমান্তে ট্রাক আটকে থাকায় সাধারণ মানুষের অবস্থা ছিল ভয়াবহ। এখন সবাইকে সাহায্য করতে চাই। আন্তর্জাতিক মহল ও অলাভজনক সংস্থাগুলোর আরও সহায়তা প্রয়োজন।"
যদিও দক্ষিণাঞ্চলে বেকারিগুলোর কার্যক্রম চালু হয়েছে, তবে উত্তরে এখনো পৌঁছায়নি কোনো ত্রাণবাহী ট্রাক। এ নিয়ে আশঙ্কায় আছে উত্তর গাজার বাসিন্দারা।
গতকাল রাত ১১টায় যখন ময়দা বেকারিতে এসে পৌঁছায়, তখনই রুটি তৈরির কাজ শুরু করা হয়। ডব্লিউএফপি নিশ্চিত করেছে, দ্রুত এসব রুটি ফিলিস্তিনিদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে।
ত্রাণ পরিস্থিতি এখনও হতাশাজনক। যেখানে আগে প্রতিদিন গড়ে ৬০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করত গাজায়, সেখানে ৮১ দিন পর মাত্র ৯০টি ট্রাক দিয়ে ক্ষুধা নিবারণ কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম।
ইমরান