ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রাজশাহীতে রাষ্ট্রদূত

দক্ষিণ কোরিয়ার মতো অগ্রগতির সম্ভাবনা বাংলাদেশের

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী

প্রকাশিত: ০০:৫৯, ২৩ মে ২০২৫

দক্ষিণ কোরিয়ার মতো অগ্রগতির সম্ভাবনা বাংলাদেশের

দক্ষিণ কোরিয়ার মতো অগ্রগতির সম্ভাবনা বাংলাদেশের

বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক বলেছেন, সে দেশের অগ্রগতির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবন। বাংলাদেশেও সেই সম্ভাবনা রয়েছে। এই দেশের তরুণরা অত্যন্ত মেধাবী এবং পরিশ্রমী। 
তিনি বলেন, কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বাড়লে দুই দেশই উপকৃত হবে। বৃহস্পতিবার রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘কোরিয়াজ কারেন্ট সিচুয়েশন ইনক্লুডিং ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশনশিপ উইথ বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। 
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত বিশেষ এই সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. খাদেমুল ইসলাম মোল্যা, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ফয়জার রহমান, নির্বাহী পরিচালক মো. শামীম আহসান পারভেজ,  ক্যারিয়ার রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. এএইচএম রহমতউল্লাহ ইমন, রেজিস্ট্রার সুরঞ্জিত ম-লসহ বিভিন্ন স্কুলের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, কো-অর্ডিনেটর, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। রাষ্ট্রদূতের সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোরিয়ান দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা কুয়ুং-রে লি।
সেমিনারের মুখ্য আলোচক ছিলেন রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া আজ যে অর্থনৈতিক উন্নতির শিখরে পৌঁছেছে, তা সম্ভব হয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, শিক্ষা, প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ এবং দক্ষ জনশক্তির কারণে। 
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক শুধু কূটনৈতিক পর্যায়ে নয়, উন্নয়ন প্রকল্পেও দৃশ্যমান। বর্তমানে কোরিয়ান সরকারের সহযোগিতা সংস্থা, কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল  কো-অপারেশন এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে- জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা, তথ্যপ্রযুক্তি, পরিবেশ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ। কোরিয়ান কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগও করছে, বিশেষ করে পোশাক, জাহাজ নির্মাণ ও ইলেকট্রনিকস খাতে। ভবিষ্যতে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে। 
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান। সেমিনারে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. খাদেমুল ইসলাম মোল্যা দক্ষিণ কোরিয়ার অগ্রগতিতে উচ্চশিক্ষা ও সুশাসনের অবদানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন এবং তিনি এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতেও মানসম্মত উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

×