
ছবিঃ সংগৃহীত
পশ্চিমা দেশগুলো প্রতিদিনই ইরানকে কেন্দ্র করে নতুন ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করছে—কখনো বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, কখনো ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সহায়তায় সামরিক হুমকি দিয়ে। তবুও ইরানের আস্থা ও দৃঢ়তা ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল।
সম্প্রতি এক বৈঠকে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান স্পষ্টভাবে বলেন, শত্রুরা অভ্যন্তরীণ বিভাজন সৃষ্টি করতে চাইলেও ইরানি জনগণ কখনও তাদের কৌশলের কাছে মাথা নত করবে না। তিনি বলেন, “ইরান সবসময় যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, আর তা সম্ভব হয়েছে আমাদের জাতিগত ঐক্যের কারণে।”
পারমাণবিক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান পরোক্ষ আলোচনার প্রসঙ্গে পেজেশকিয়ান বলেন, “যদি তারা শান্তি চায় না, তবে আমাদের আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ইরানি জাতি নিজস্ব শক্তি ও সংহতির ওপর ভর করে নিজেদের পথ খুঁজে নিতে সক্ষম।”
এরইমধ্যে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থা আইএইএ (IAEA) জানিয়েছে, ইরানের কাছে এখন এমন পরিমাণ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে, যা দিয়ে অন্তত ছয়টি পারমাণবিক বোমা তৈরি করা সম্ভব। যদিও ইরানের হাতে বর্তমানে কোনো পারমাণবিক অস্ত্র নেই। এই ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক অবস্থান নেয় এবং তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পারমাণবিক চুক্তিতে না এলে বোমা হামলার হুমকি দেন। পাশাপাশি তিনি বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা জারি রাখেন, যার ফলে ইরান আবারও পশ্চিমাদের সঙ্গে অর্থনৈতিক কার্যক্রম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=ZU4ZqBVLoA8
মুমু