
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে উচ্চ শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের অন্যতম পছন্দ তুরস্ক। ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে তুরস্কে ৩ লাখ ৩৭ হাজার ১১৯ জন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করেছে, যা ২০০২ সালের তুলনায় একটি বিপুল অগ্রগতি। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, "২০২০ সালে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অংশীদারিত্ব ছিল ২.৯%। সেটি এখন বেড়ে ৩.৫%-এ পৌঁছেছে। এর ফলে তুরস্ক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আকর্ষণে বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে স্থান পেয়েছে।"
তুরস্কের শিক্ষা খাতকে বৈদেশিক বাজারে পরিচিত করতে মন্ত্রণালয় বিভিন্ন উদ্যোগে সহায়তা করে আসছে—এর মধ্যে রয়েছে বিদেশে বিজ্ঞাপন, প্রচারণা, মার্কেটিং কার্যক্রম, আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণ, ব্র্যান্ড রেজিস্ট্রেশন ও সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনে সদস্যতা গ্রহণ।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২০১২ সাল থেকে শিক্ষা খাতে সেবা রপ্তানির ওপর গুরুত্ব দিয়ে সরকার কাজ করছে। উচ্চশিক্ষা কাউন্সিল ও জাতীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে নেওয়া নানা পদক্ষেপের ফলে এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।
"স্টাডি ইন তুরকিয়ে" ব্র্যান্ডের অধীনে গত বছর কাজাখস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইরাক এবং জার্মানিতে পাঁচটি আন্তর্জাতিক মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া গত বছর শিক্ষা খাতে কাজ করা সাতটি ব্র্যান্ডকে ‘টারকোয়ালিটি প্রোগ্রাম’-এর আওতায় সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ২০২৪ সালে শিক্ষা খাতে সেবা রপ্তানি ১৫ গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৮৬৫ বিলিয়ন ডলারে। আর খাতটিতে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে পৌঁছেছে ১৬২.৭ বিলিয়ন লিরা (৪.১৯ বিলিয়ন ডলার)।
২০০২ সালে যেখানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৫,০০০, ২০১২ সালে তা বেড়ে হয় ৩১,১৭০। ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে তা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩৭ হাজারেরও বেশি। ২০১২ সালে ১৫৪টি দেশ থেকে শিক্ষার্থী এলেও, এখন সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮০টি দেশে।
বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, “আমরা ২০২৫ সালেও আমাদের কর্মশালা ও বৈঠক চালিয়ে যাব, যাতে শিক্ষা খাতে রপ্তানি আরও বাড়ানো যায়। সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে মিলে আমরা সহায়তা কার্যক্রম আরও কার্যকরভাবে চালিয়ে যাব।”
মুমু