
ছবিঃ সংগৃহীত
ভারত এবং পাকিস্তান সীমান্তে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত করতে সতর্কতা স্তর কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় সেনা। উভয় দেশই একমত হয়েছে যে, আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার মাধ্যমে সীমান্তে উত্তেজনা কমানো সম্ভব হবে, যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উত্তাপ কিছুটা হলেও শীতল করবে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং শ্রীনগরে তার সফরের সময় পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, "পাকিস্তান এমন একটি অবাধ্য রাষ্ট্র, যেখানে পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (IAEA) তত্ত্বাবধানে রাখা উচিত।" এর মাধ্যমে তিনি পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের সুরক্ষা নিয়ে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তার এই মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির আগের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, যেখানে মোদী বলেছেন যে ভারত পাকিস্তানের "পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল" মেনে নেবে না।
এদিকে, শ্রীনগর বিমানবন্দর পরিদর্শনকালে কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী ক রাম মোহন নায়ডু জানান, কাশ্মীরে পর্যটকদের সংখ্যা কমে যাওয়ার পর সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে পর্যটন পুনরুদ্ধারের জন্য। পাহলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর কাশ্মীরে পর্যটকদের আগমন অনেকটা কমে গিয়েছে, এবং সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে পর্যটকদের ফেরানো এবং কাশ্মীরের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার করা।
গত ৭ ও ৮ মে, ভারত পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে অপারেশন সিন্ধূর চালায়, যা ভারতীয় পর্যটকদের হত্যা এবং উগ্রপন্থী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ হিসেবে নেওয়া হয়। এই অভিযান দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে, এবং উভয় দেশের সেনাবাহিনী একে অপরকে পাল্টা আক্রমণ চালায়। তবে, শনিবার এক চুক্তির মাধ্যমে উভয় দেশ সামরিক কার্যক্রম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, কিন্তু পাকিস্তান চুক্তি কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা ভঙ্গ করেছে।
এই পরিস্থিতির পর, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা এখনও থামেনি, এবং সকলের নজর এখন এই পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে।
মারিয়া