
.
টানা আট মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখন্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জার পাশাপাশি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে হাসপাতালও। গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও ইতোমধ্যে ভেঙে পড়েছে। এর সঙ্গে অবরুদ্ধ এই ভূখন্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ যে, গাজাকে বসবাসেরই অযোগ্য করে ফেলা হয়েছে বলে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। খবর এএফপির।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় মিসরের সঙ্গে সংযুক্তকারী রাফাহ ক্রসিংয়ে আক্রমণ ও দখলে নেওয়ার ফলে এ বছর উপত্যকাটির ২৫০০ ফিলিস্তিনি হজে যেতে পারেননি। শুক্রবার গাজার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইকরামি আল-মুদাল্লাল বলেছেন, হজে যেতে বাধা সৃষ্টি করা ধর্মীয় স্বাধীনতার স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরাইলি আগ্রাসন ও যুদ্ধের কারণে মিসর ও সৌদি আরবের মধ্য দিয়ে পরিবহন চুক্তি স্বাক্ষর এবং মক্কা ও মদিনায় হাজিদের থাকার জায়গা বুকিংসহ হজের স্বাভাবিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেনি মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, রাফাহ ক্রসিং বন্ধ করা এবং চলমান সংঘাতের কারণে গাজার ২৫০০ মুসল্লি হজে যেতে পারেননি। এই সংখ্যা মোট ৬ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি হজযাত্রীর ৩৮ শতাংশ।
এদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও অন্তত ৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ভূখ-টিতে মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৭ হাজার ২৩২ জনে। শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলায় আরও ৮৫ হাজার ৩৭ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না।